কী কথা হলো এরদোগানের সঙ্গে ন্যাটোপ্রধানের বৈঠকে?


মাত্র শনিবারই তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের পাশাপাশি একাধিক পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আঙ্কারা সফরে যান। এ ছাড়া ছিলেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। শপথের পর দিন রোববারই এরদোগান এবং তুরস্কের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে ন্যাটো সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও এদিন মূলত একটি বিষয়ের উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। এরদোগানের কাছে তার অনুরোধ, সুইডেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে তুরস্ক যেন আরেকটু নমনীয় হয়। কারণ তুরস্কের আপত্তির কারণেই আটকে আছে সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বৈঠকের পর এরদোগান কোনো মন্তব্য না করলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক মত পরিবর্তন করতেও পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট আবারও জানিয়ে দিয়েছেন যে, সুইডেনের একটি অংশ কুর্দি যোদ্ধাদের সমর্থন করে। তার মানে, তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। এই কারণেই সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদান তুরস্ক মেনে নেবে না। তবে স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে সুইডেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। ফলে তুরস্ক এবার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। প্রসঙ্গত, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় রাজনীতিতে সমদূরত্বের নীতি নিয়ে চলছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা পুরনো নীতি থেকে সরে আসে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও সুইডেনকে নিয়ে আপত্তি জানায় তুরস্ক। ন্যাটোপ্রধান আরও বলেন, সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দিলে দেশটির যেমন সুবিধা হবে, তেমনি তুরস্কেরও সুবিধা হবে। আর সামগ্রিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে ন্যাটো।