কাবিখা প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া সহ নানা অভিযোগ


ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলাতে কাবিখা প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে ভেকু দিয়ে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর-পরই ২/৩ জন শ্রমিক নিয়ে, ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সব চিহ্ন মুছে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বলে জানান এলাকাবাসী। তাছাড়া শ্রীফলতোলা গ্রামের মৃত্যু নায়েব আলীর পুত্র লুৎফর রহমান জনান, সন্ধ্যার সময় মিথ্যা কথা বলবো না, এই যায়গায় প্রথমে মাটি কাটে ভেকু দিয়ে। তারপরে একদিন চেয়ারম্যান নিজে থেকে এখানে দুই জন শ্রমিক নিয়ে এসে কোদাল দিয়ে মাটি কাটে চিহ্ন মুছে দেন। কি ঘটনা, শুনতে আসলে চেয়ারম্যান বশির উদ্দীন বলেন, আমাদের বিল তুলা নিয়ে একটু ঝামেলা হচ্ছে তাই ঠিকঠাক করছি। অপরদিকে ঐ প্রকল্পের পিআইসি এর বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যে এবং ব্যক্তিগত জমি দখল করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে কাবিখা প্রকল্পের গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে বলে, উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীফলতোলা গ্রামের জসিম উদ্দীনের স্ত্রীর দাবী। তার জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ না করার জন্য বারবার অনুরোধ করার পরও বাঁধা মানেনি কর্তৃপক্ষ। এই কাজের দ্বায়ীত্বে থাকা পিআইসি সংরক্ষিত ৩ নং আসনের মহিলা ইউপি সদস্য আরজিনা বেগমের স্বামী আব্দুর রশিদ, একপর্যায়ে জসিমের স্ত্রীকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসমা খাতুনের নিকট হতে ৫৫০০/-(পাঁচ হাজার পাঁচ শত) টাকা নিয়ে রাস্তা সরকারী জমির উপর দিয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ও দেন। কে শোনে কার কথা সড়ক নির্মাণ হয়েছে কিন্তু ব্যক্তিগত জমি দখলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ভুক্তভোগী আসমা খাতুন। ঘটনাটি জানতে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাদেকুর রহমান রিপন এর সাথে কথা বলিলে তিনি জানান,রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার। এখানে পাব্লিকের নিকট হতে অতিরিক্ত টাকা যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে অন্যায় হবে। আবার কারো ব্যাক্তিগত জমির উপর দিয়ে রাস্তা সেটাও কখনোই কাম্য নয়। সংরক্ষিত ৩ আসনের মহিলা মেম্বারের সাথে এব্যাপারে জানতে চাইলে তার স্বামী আব্দুর রশিদ বলেন, যা বলার আপনি আমাকে বলেন। আমি উনার স্বামী।গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে আসমা খাতুনের নিকট হতে টাকা নেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা-পঁয়সা নিই নি। তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। আপনারা পিআইসি এর সাথে কথা বলেন বলে জানান, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বশির উদ্দীন। হরিণাকুন্ডু নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তানভির হোসেন মঙ্গলবার (৬ জুন) সাংবাদিকদের জানান,যেহেতু আমি অতিরিক্ত দায়ীত্বে আছি তাই এব্যাপারে আমি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা না বলে কিছুই বলতে পারছি না।