সিংড়ার অর্ক এগ্রো ফার্মে কুরবানী উপলক্ষে শতাধিক দেশি ষাঁড় গরুর প্রস্তুত
অনলাইন নিউজ ডেক্স
কুরবানির ঈদ কে সামনে রেখে দেশি ষাঁড় গরুর চাহিদা বেড়ে যায়। আর সেটি যদি হয় রাসায়নিক ও হরমোন মুক্ত একটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন খামারের রোগবালাই মুক্ত গবাদি পশু। তবেই মনে তৃপ্তি ও স্বস্থি অনুভূত হয়। এমনই খামারের সন্ধান মিলেছে নাটোরের সিংড়ার শেরকোল ইউনিয়নের তেমুক নওদাপাড়া গ্রামের অর্ক এগ্রো ফার্মে রাসায়নিক মুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদে ছোট-বড়-মাঝারি শতাধিক দেশি ষাড় গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা নিরাপদ ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে প্রাকৃতিক খাবারেই বেড়ে উঠেছে। আর এই খামার দেখতে আশে পাশের অনেকেই ভীড় করছেন। পাশাপাশি এলাকার অনেকেই এখন একটি নিরাপদ খামারের স্বপ্নও দেখছেন।
খামার তত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত জাহিদ হাসান জানান, নিরাপদ মাংসের কথা চিন্তা করেই দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় দশ বিঘা জমিতে পাখচং ও নেপিয়ার ঘাস চাষ এবং দশ বিঘা জমিতে ভূট্রা চাষাবাদ করেছেন। এছাড়াও গম, খৈল ও ভূষি মিশিয়ে খাদ্য প্রস্তুত করে সম্পূন্ন প্রাকৃতিক খাদ্যে গবাদি পশু লালন-পালন করছেন। আর বাজারে এই ধরণের পশুর চাহিদাও রয়েছে। আশা করছেন বেশ লাভবানও হবেন।
খামারের কৃষাণ জাকিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই খামারে উন্নত মানের ঘাস ও প্রাকৃতিক খাবারেই নিরাপদে গবাদি পশু লালন পালন করা হয়ে থাকে। আর এজন্য এই খামারের পশুর বেশ চাহিদা রয়েছে। এখানে তার পরিবারসহ এলাকার চারজন ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিও একটি ইতিবাচক দিক বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কে এম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, উপজেলার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার খামারে ৯২ হাজার ৫৬৬ টি কোরবানি যোগ্য গবাদি পশু প্রস্তত করা হয়েছে। যা স্থানীয় ভাবে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার অতিরিক্ত গবাদি পশু ঢাকাসহ আশে পাশের এলাকায় বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর উপজেলার অর্ক এগ্রো গবাদি পশুর ফার্ম একটি হরমোন মুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ মডেল। যা অনেককেই নিরাপদ খামার গড়ে তুলতে সহায়ক বলে মনে করেন তিনি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।