বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট


বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগেই তার আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করেছে। তবে ভারতের অবস্থান কি হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্তব্য নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিবরি। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ফরেন প্রেস সেন্টারে কিরবির ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এনে একজন সাংবাদিক কিরবিকে বলেন, দেশটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সমর্থন জানাতে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে দেশটি (ভারতে) কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার পাশে থাকবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশটিতে (বাংলাদেশ) প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছিল, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে আমরা ভারতীয় প্রভাব দেখতে পেয়েছি। এর উত্তরে জন কিরবি বলেন, আমি মনে করি, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে ভারত সরকারকে কথা বলতে দেব। তবে আপনি সঠিক—বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করেছে। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি গ্রহণ করেছে। আমি কেবল আমাদের নিয়েই কথা বলতে পারি, আপনি জানেন আমরা কোথায় আছি। একই প্রশ্নের আরেকটি অংশে প্রশ্নকারী জানতে চান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে কি না, যেহেতু মানবাধিকার বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল উপাদান। আরও পড়ুন...মার্কিন নতুন ভিসানীতি: রাজনীতিতে তোলপাড় এর জবাবে কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বজুড়ে যেখানেই যাক না কেন এবং যেই নেতাদের সঙ্গেই তিনি কথা বলেন না কেন, তিনি মানবাধিকার নিয়ে তার উদ্বেগের কথা জানান। মানবাধিকার এ প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির মৌলিক উপাদান। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো বন্ধু ও অংশীদারের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করতেই পারেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস