ইসির ক্ষমতা ‘খর্ব করে আইন’ পাশের বিরুদ্ধে মান্নার প্রতিবাদ


ভোট বাতিল বা স্থগিতের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘ক্ষমতা খর্ব করা’ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করার আরেকটি পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে।’ বুধবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্র মঞ্চের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমান অনির্বাচিত ক্ষমতাসীনরা এটিকে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভোট ডাকাত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু এবার সরকার নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আইন করে খর্ব করার চেষ্টা করছে। যাতে কখনো একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারে। সরকার যাচ্ছেতাই কমিশনকে ব্যবহার করতে পারে।’ মান্না বলেন, ‘এভাবে একের পর এক দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে সরকার দেশে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ তাদের পুরোপুরি প্রত্যাখান করবে, এটা তারা জানে। এজন্যই অবৈধ রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের গণতন্ত্রকে, জনগণের সব মৌলিক, সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছে। এ কারণেই ভোট স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা কমিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি নখদন্তহীন পুতুল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে সরকার।’ ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, ‘দখলদার সরকারের দিন শেষ হয়ে আসছে। তারা পালানোর পথ খুঁজছে। সারা পৃথিবী তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা আরও বেশি স্বৈরাচারী হয়ে উঠছে৷ কিন্তু একদিকে দেশের জনগণ এবং সব বিরোধী রাজনৈতিক দল এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, অন্যদিকে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো তাদের ওপর নানামুখী চাপ অব্যাহত রেখেছে। সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। অচিরেই জনগণের বিদ্রোহের মুখে, গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে এই স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’