আসামির কাঠগড়ায় হাতকড়া পরে বাবা, কোলে যেতে আয়েশার কান্না
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আয়েশা। বয়স মাত্র দুই বছর। সে অপরাধ বুঝে না, আইন-আদালত বুঝে না, কাঠগড়ার আশপাশে দাঁড়ানো পুলিশও বুঝে না। শুধু বুঝে বাবার স্নেহের পরশ। হাতকড়া হাতে বাবারে কাঠগড়ায় দেখে ছুটে যেতে উদগ্রীব হলো সে।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪। বৃহস্পতিবার ঢাকার এই আদালত প্রাঙ্গণে সব বাধা ডিঙিয়ে জয় হলো বাবা-মেয়ের ভালোবাসার।
বিচারক মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে শিশু আয়েশার বাবা সুমনকে পুলিশ মাদক মামলায় হাজির করে। সে সময় বাবার হাতে ছিল হাতকড়া ও এজলাসে ছিল পুলিশের কড়া পাহারা। শিশু আয়েশা ওর মায়ের সঙ্গে আদালতে হাজির হয়। বাবাকে কাঠগড়ায় দেখার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। বাবার কোলে উঠবে সে। কিন্তু বাধ সাধে আইন।
বিধি মোতাবেক বন্দি আসামির কাছে কেউ যেতে পারবে না। কিন্তু বাবার কোলে যাওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করে আয়েশা। সে সময় বাধা দেয় পুলিশ। পরে আয়েশার কান্নার কাছে পুলিশও হার মানে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে বিচারক ওঠার আগে এ ঘটনা ঘটেছে। আসামিকে আদালতে আনার সময় পুলিশ শিশু আয়েশাকে তার বাবার কাছে যেতে বাধা দেয়। কিন্তু আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা বাবা-মেয়ের এই আবেগঘন ভালোবাসার চিত্র দেখে আপ্লুত। অনেকের চোখে আসে পানি। অবশেষে পুলিশও আয়েশার ভালোবাসার কাছে হার মানে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে আনোয়ারুল কবির বাবুল আরও জানান, আয়শা বাবার কোলে ওঠে....বুকে মাথা রাখে...বাবার নাকে নাক ঘষে। মাদকাসক্ত বা মাদক বিক্রেতা এসব বাবারা কি আয়েশাদের দিকে তাকিয়ে সুপথে আসতে পারে না?
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।