বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আইয়ুব হোসেন পক্ষী’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা


বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ৬নং ভবারবেড় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ আইয়ুব হোসেন পক্ষী তার নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্বপ্নযাত্রা’ ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই ) বিকাল ৩ টায় বেনাপোল রেলওয়ে সড়ক সংলগ্ন “সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল” এ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।

“পানির বোতল” মার্কার প্রার্থী আইয়ুব হোসেন পক্ষী সংবাদ সন্মেলনে বলেন- মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, জনগণের ভালো সাড়া পাচ্ছি। ১২ বছর এ ওয়ার্ডের মানুষ নির্বাচন থেকে বঞ্চিত ভোটারদের অনেক অভিযোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,৬নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই নাজুক। এ ওয়ার্ডটি এখনও গ্রামের আদলে আছে, এখানে সমস্যার শেষ নেই, অল্প বৃষ্টিতেই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। যদি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে প্রথমেই এই জলাবদ্ধতা ও ড্রেন লাইনের যে সমস্যা আছে তার সমাধান করবো। খেলার মাঠের অভাবে স্কুল,কলেজ পড়ুয়া শিশু-কিশোররা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,এই ওয়ার্ডে একটি কাঁচাবাজারের প্রয়োজন, কমিউনিটি সেন্টার এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে, আশ্রয়হীনদের আশ্রয়, ভূমিহীনদের ভূমি, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, বাসস্থান, ছোটবড় সড়ক উন্নয়ন, পৌর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সহ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল দান-অনুদান ডোর-টু-ডোর পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, এ এলাকার প্রতিটি অলি-গলি আমার ভালো করে চেনা-জানা। পাশাপাশি এ এলাকার প্রতিটি সংকটও আমার চোখে দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, এ ওয়ার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানের অধিবাসীরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের জনদুর্ভোগ-দুর্দশা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। এজন্য আমি এ ওয়ার্ডকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়তে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহারের নাম ‘স্বপ্নযাত্রা’। নির্বাচনী মার্কা “পানির বোতল”। বিজয়ী হতে পারলে এ ইশতেহার বাস্তবায়ন করে আমি ওয়ার্ডের সেবক হতে চাই।

এসময় তিনি তার ইশতেহার ঘোষণা করেন, তার ঘোষিত ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে–
১। শুধুমাত্র সরকারি ফি দিয়ে এলাকাবাসীর নাগরিক সনদপত্র,মৃত্যু’র সনদ,ওয়ারিশ সনদ,প্রত্যায়ন পত্র,চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা।
২। প্রাইমারী স্কুল ও কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ব্যবস্থাকরন।
৩। বয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা।
৪। ওয়ার্ডের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও অক্সিজেন ব্যবস্থা।
৫। বিনামূল্যে গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সামগ্রীর ব্যবস্থা।
৬। সুপেয় পানি ব্যবস্থাকরন।
৭। নতুন রাস্তা নির্মাণ ও পুরাতন রাস্তা সংস্কার এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাকরন।
৮। বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা,পঙ্গুত্বভাতা,টিসিবি কার্ড,প্রতিবন্ধি কার্ড,শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থাকরন।
৯। খেলারমাঠ বরাদ্ধ ও নিয়মিত ক্রিড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন ও শিশুদের ক্রিড়া সামগ্রী বিতরণ।
১০। মশক নিধন।
১১। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
১২। যানজট নিরসন।
১৩। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
১৪। ওয়ার্ডে সিকিউরিটি গেইট নির্মাণ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপণ।
১৫। পাবলিক টয়লেট স্থাপণ।
১৬। ওয়ার্ডকে আলোকসজ্জা করা ও পুরাতন লাইট পোষ্ট সংস্কার।
১৭। যুবকর্মসংস্থনের ব্যবস্থা।
১৮মিনি শিশুপার্ক স্থাপণ।
১৯। আইল্যান্ড ও ফুটপাতের সৌন্দর্যবর্ধন।
২০। সন্ত্রাস,ছিনতাই প্রতিরোধ মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার ব্যবস্থা।
২১। বিনোদন,স্বাস্থ্য ও শারীরিক বিকাশে সুযোগ বৃদ্ধি।

আগামীর সুন্দর,পরিচ্ছন্ন ও উন্নত ওয়ার্ড গড়ার লক্ষে তিনি ভোটারদের শতভাগ সহযোগীতা চান। প্রার্থীর পক্ষে সংবাদ সন্মেলনে অংশ নেন—-
মোঃ হাসান ইমাম,এ এম শওকত শহীদ,হেকিম শামছুর(মামা),মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ শহীদ হোসেন স্বপণ,মোঃ মনির হোসেন,মোঃ আলমগীর হোসেন(রাজু),মোঃ মাসুদ আলী মৃধা,মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ আমিনুল ইসলাম রনি ,মোঃ লোকমান হোসেন রাসেল,আসাদুজ্জামান রিপন,আশিকুর রহমান অনন্ত,মোঃ রাসেল ইসলাম,জসিম উদ্দিন,মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,মোঃ আকাশ হোসেন সাগর,মোঃ সাদ্দাম হোসেন, কচি ভাই,মোঃ আলী হোসেন,স্বপন ভাই(চায়ের দোকান),ডাঃ মিন্টু রহমান,রেদওয়ান ইসলাম সীমান্ত,শাফায়েত ইসলাম সৈকত
সহ এলাকার অনেকে উপস্থিত ছিলেন।