ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবিতে রাজপথে গার্মেন্ট শ্রমিকরা


দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে মাত্র আট হাজার টাকা বেতনে জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের জীবনমানের কথা বিবেচনা করে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, পোশাক শিল্প দেশের সর্ববৃহৎ রপ্তানি শিল্প। কিন্তু তাতে শ্রমিকরা অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সঠিক বাস্তবায়ন না থাকায় শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে, ফলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে ২৩ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হোক। সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার বলেন, বর্তমানে প্রতিনিয়ত যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে সেক্ষেত্রে আট হাজার টাকা মজুরি দিয়ে জীবনযাপন করা অসম্ভব। শ্রমিকদের জীবনমানের কথা বিবেচনা করে ২৩ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হোক। তিনি বলেন, সরকার পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ২০১৩ সালের নভেম্বরে নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা ও ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। যদিও শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালে ১৬ হাজার টাকা ও ২০১৮ সালে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল।