চাঁদাবাজি,ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদকের পৃষ্টপোষকতা করার অভিযোগ কুষ্টিয়ার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে


কুষ্টিয়ার খলিসাকুন্ডিতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করে জুলমত হোসেন। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে কুষ্টিয়ার সন্ত্রাসী জোন হিসেবে পরিচিত খলিসাকুন্ডিতে একক রাজত্ব কায়েম করে জুলমত। সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত ইউনিয়ন কাউন্সিলে চলে তার আড্ডা। কাউন্সিলের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই চেয়ারম্যান জুলমত হোসেনের। ২১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে ইজারা বিহীন নদীর ঘাট দখল, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদকের পৃষ্টপোষকতা সহ অসংখ্য অভিযোগ ওঠে জুলমতের বিরুদ্ধে। কেউ নিজের জমিতে বাড়ি বা মার্কেট নির্মান করতে গেলে তার কাছে চাঁদা দাবী করে জুলমত। সরকারী জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে জুলমতের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী জানায়, খলিসাকুন্ডি কলেজের পেছনে সাইফুন ব্রীজ এলাকা থেকে অবাধে মাটি কেটে উজাড় করে চলেছে। দৌলতপুর আসনের এমপি ওই স্থানে পার্ক করার বিষয়ে একাধিকবার সংসদে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। মাটি কেটে ওই এলাকার ভূপ্রকৃতি নষ্ট করে চলেছে জুলমত। খলিসাকুন্ডি বাজারে আরজেদ আলী বিশ্বাসের রের্কডিয় সম্পত্তিতে তার ওয়ারিশরা বালি ফেলতে গেলে তিনি সাবেক মেম্বার রায়হানের পুত্র মাসুদ রানা আর রুহুল আমিনকে দিয়ে কাউন্সিলে অভিযোগ করায় সিএন্ডবির জায়গায় বালি ফেলা হচ্ছে মর্মে। এই বিষয়ে দৌলতপুর থানা সালিশ করে। যাতে প্রমাণিত হয় জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। জায়গা সিএন্ডবির না হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরেও চেয়ারম্যান বালি ফেলতে বাধা দেয় এবং আরশেদ আলীর বিশ্বাসের ওয়ারিশ জাহিদ ইকবাল রাজুকে মারপিট করে। জাহিদ ইকবাল রাজুর দাবী তিনি থানা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী সিরাজুল বিশ্বাসের সাথে নির্বাচনী কাজ করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান। তারই জের ধরে রাজুকে মারপিট করে চেয়ারম্যান জুলমত। খলিসাকুন্ডি বাজারে খলিসাকুন্ডি প্রাইমারী স্কুলের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিনের পুত্ররা মার্কেট নির্মান করতে গেলে নোটিশ করে তাদের মার্কেট নির্মান বন্ধ করে দেয়। জমির উদ্দিনের পুত্র ফিরোজ জানায়, ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান জুলমত হোসেন তার কাছে দুইটি দোকান দাবী করে। খলিসাকুন্ডিতে পাইকপাড়া এলাকায় নদী পারাপারের জন্য একটি ঘাট রয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে কোন রকম ঘাট ইজারা দেয়া হয়নি। সেখান থেকে চেয়ারম্যান জুলমত আদায় করছেন নদী পারাপারের অর্থ। স্থাণীয় ভূমি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান. আগে এই ঘাট সায়রাতভুক্ত ছিলো না। এখন সায়রাতভুক্ত হয়েছে। এখনও কেউ ইজারা পায়নি। খলিসাকুন্ডি মাদকের স্বর্ণরাজ্য হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ আছে চেয়ারম্যান নিজেই মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার। একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, খলিসাকুন্ডিতে যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা কোন না কোন ভাবে চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ। চেয়ারম্যান জুলমত হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।