চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাথর ওজনে কম গাড়ি রেখে চালক ও সহকর্মী লাপাত্তা।


চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বারঘরিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে পাথর কম দেয়ার অভিযোগে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চালক ও তার সহকারী। ১৫ (জুলাই) শনিবার বিকেলে পাথর বোঝায় একটি ট্রাক যাহার ওজন ২১,৪৬০ কেজি, সদর উপজেলার দুর্গাপুর জুমার মসজিদের সামনের এলজিইডি\'র ড্রেনের কাজের জন্য সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে রুদ্র এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার কোম্পানিতে সরবরাহ করেন পাথর ব্যবসায়ী ও ট্রাক মালিক শরিফুল ইসলাম। রংপুর ট-১১-০০২৭ পাথর বোঝায় ট্রাকটিকে সন্দেহ হলে রুদ্র এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার মজিবুর রহমান পাথরের ওজন পরিমাপ করতে চাই কিন্তু চালক চ্যালেন ছুড়ে ওজন কমবেনা বলে অস্বীকৃতি জানাই, ম্যানেজারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ট্রাক চালক নিজেই স্বীকার করেন চালান অনুযায়ী পাথর ওজনে কম আছে। তারপরও ম্যানেজার মজিবুর রহমান বারবার ওজন করার তাগিদ দিলে এক পর্যায়ে চালক ও তার সহযোগী দুর্গাপুর থেকে ট্রাকটি ওজনের জন্য বারঘরিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সামনে রেখে বিভিন্ন অজুহাত দেখে শটকে পড়েন। রুদ্র এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার মজিবুর রহমান জানান, পাথর মালিক রাজশাহীর শরিফুল ইসলামের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলাম । কিছুদিন যাবত আমাদের সন্দেহ হয় শরিফুল ইসলাম আমাদেরকে পাথর ওজনে কম দিচ্ছে তাই আমরা গতকাল চ্যালেঞ্জ করি। ড্রাইভার কথা কাটাকাটির পর নির্দিষ্ট ওজন থেকে ৫০০ কেজি কমের কথা স্বীকার করেন। আমি তারপরও ওজন করতে চাইলে তিনি আমাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখে পালিয়ে যান। এখন পর্যন্ত ট্রাকটি বারঘরিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে রয়েছে। রুদ্র এন্টারপ্রাইজ মালিক মোকসেদ আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিশ্বস্ততার সহিত দীর্ঘদিন যাবত শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে পাথর নিয়ে আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো করে আসছি। কোনদিনই আমি এরকম মনে করিনি যে একজন ব্যবসায়ী ওজনে কম দেবে। গতকালের ঘটনায় আমি বিস্মিত হয়েছি এইভাবে শরিফুল ইসলাম পাথর ওজনে কম দিয়ে আমার ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পালাতক ট্রাক চালক শহিদুল ইসলামের সাথে বারবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিষয়ে ট্রাক মালিক ও পাথর ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ট্রাক চালক ও তার সহযোগী সমস্যা করে গাড়ি রেখে পালিয়ে এসেছে। এটি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান।