পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নুরের গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়


পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের ছয়তলায় কার্যালয়সহ ভবনটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, টাওয়ারের নিচে প্রহরারত অন্তত ৩০ পুলিশ সদস্য কাউকে ভবনে ঢুকতে দিচ্ছেন না। এদিকে শুক্রবার বিকাল ৪টায় কার্যালয় ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সব তুলে ধরা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে কার্যালয়টিতে তালা দেন ভবনমালিক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের অপর অংশের নেতা তিনি। বিকালে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নুরুল হকসহ তার অংশের নেতা-কর্মীরা। পরে তাদের পিটিয়ে কার্যালয় থেকে বের করে দেয় পুলিশ। এতে নুরুল হকসহ বেশ কয়েক নেতা-কর্মী আহত হন। প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। প্রিতম-জামান টাওয়ারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী বলেন, ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আমরা ভবনে বাইরের কোনো লোকজনকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি না। রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ছবি: সংগৃহীত রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ছবি: সংগৃহীত ভবনমালিক মিয়া মশিউজ্জামান শুক্রবার বলেন, কার্যালয়টির ভাঙা দরজা মেরামত করেছি। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। আইন অনুযায়ী, পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ ভাঙনের আগে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ছিলেন প্রিতম-জামান টাওয়ারের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান। ভাঙনের পর রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদে আগের দুটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ৭ জুলাই দুই দিনের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়তে নোটিশ দিয়েছিল ভবনের মালিকপক্ষ। গণঅধিকার পরিষদের তৎকালীন সদস্য সচিব নুরুল হক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।