স্থবিরতার মাঝেও স্বস্থির হাসি কৃষকের মুখে


নওগাঁর আত্রাইয়ে শ্রাবণের বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি. স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন. সেই সাথে বিপাকে পড়েছে দিন মজুরি শ্রমিক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ. ভোগান্তির শিকার স্কুল পড়ুয়া কোমল মতি শিক্ষার্থীরা। বিগত কয়েক মাস ধরে তীব্র তাপদাহ এবং ভ্যাপসা গরমের সাথে বিদুৎ এর নিয়মিত লোডশেডিং এ নাকাল হয়ে পড়েছিল গ্রামীণ জনপদের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জনজীবন। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় দুঃচিন্তার ছাপ ছিল পাঠ চাষী কৃষকদের চোখে মুখে. সকল কৃষকের মুখে মুখে সমাদৃত হয়ে উঠেছিল বৃষ্টি খুব জরুরি এই কথাটি. গত৬ই আগস্ট রবিবার সন্ধা থেকেইশুরু হওয়া বৃষ্টি. সোমবার থেমে থেমে দিনভর পড়তে থাকায়.স্বস্থির নিঃশ্বাস মিলে কৃষকের। তবে এমন বৃষ্টির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন.শ্রমবিক্রি করে দিন এনে দিন খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে. ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের।উপজেলার গ্রামীণ রাস্তা গুলোতে গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তি তে পরিবহন যাত্রীরা. উপজেলার গ্রামীণ বাজার গুলো প্রায় ক্রেতা শুন্য।সাপ্তাহিক হাটগুলোতে বৃষ্টির মাঝেই কষ্টকরে কাচা তরি তরকারির পসারা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক মামুন সরদার বলেন ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় পাঠ জাগ দেওয়া সহ ধান চাষ করা দুঃশ্চিন্তার করন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো.বৃষ্টিতে স্বস্থি মিলেছে। উপজেলার ভবানীপুর বাজারের বিশিষ্ট কাপর ব্যাবসায়ী হোসাইন মোনয়ার বলেন বৃষ্টির কারনে বাজারে লোকজন নেই. খুব জরুরি প্রয়েজন ছাড়া কেউ আসছেনা, তাই বেচাকেনা একদম নেই. অলস সময় পার করছি. ভবানীপুর বাজারে চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন. প্রকৃতির নিয়ম মেনে ভারসাম্য রক্ষা করে আমাদের চলতে হবে অন্যথায় বিপর্যয় নিশ্চিত. বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমের ভাব এখোনো আছে তবে কিছুটা স্বস্থি মিলেছে।