কেন্দুয়ায় গলাকাটা যুবকের লাশ উদ্ধার


নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় বাদল মিয়া (৩৪) নামে এক গলাকাটা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার গন্ডা ইউপির কালিয়ান- মডেল বাজার সড়কের বৈষ্যপাঠ্রা এলাকায় পতিত কৃষি জমি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে রাতেই জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে এবং রাস্তায় রক্তের দাগের আলামত দেখা যায়। গন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুল হক আকন্দ কল্যান মনকান্দা গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত বাদল মিয়া উপজেলার চিরাং ইউপির কিচমত চিথুলীয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কেন্দুুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ ফারাবী ও থানা ওসি মোঃ আলী হোসেন পিপিএম। কেন্দুুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ ফারাবী জানান, নিহতের লাশ প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে পেয়ে স্থানীরা খবর দেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের পকেট থেকে তাঁর একটি কার্ড দেখে লাশের সনাক্ত করেছি। ধারনা করা হচ্ছে নিহত যুবক মোটরসাইকেল ভাড়া চালাতেন। লাশের সুরতহালসহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপজেলার চিরাং ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খান গলাকাটা বাদল মিয়ার লাশ সনাক্ত করে বলেন, সে মোটর সাইকেল ভাড়া বেয়ে তার সংসার চালাতো। গত রাতে প্রতিদিনের ন্যায় ভাড়ায় পেসেন্জার নিয়ে গিয়ে সে নিখোঁজ ছিল। পরে সে লাশ হয়ে ফিরল। নিহতের ভাই টিটুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সে বেশ কিছু দিন বিদেশ ছিল। বিদেশ থেকে এসে বছর দেড়েক আগে বিয়ে করে শুশুর বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল উপহার পায়। সেই মোটর সাইকেল তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিনের ন্যায় সে তার নিজস্ব মোটর সাইকেলে ভাড়ায় পেসেন্জার নিয়ে গিয়ে তাদের হাতেই তার জীবন দিতে হল। ধারনা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের পেসেন্জারই তার গলাকেটে তার মোটর সাইকেল নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক মির্জা সফিউল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।