পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পরই বাড়ল নিত্যপণ্যের দাম


সবেমাত্র দুদিন হলো পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নিল। এরই মধ্যে বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। চিনি এবং ইস্পাতের দাম রীতিমতো আকাশচুম্বী। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক দুর্বলতায় হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবকিছু মিলে ইতোমধ্যেই কঠিন চাপে আছেন ভোক্তরা। শুক্রবার ডনের প্রতিবেদনে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আসার পর প্রথম দুদিনে আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে ৭ টাকা। আমদানিকৃত কাঁচামাল ও তৈরি পণ্যের স্থলমূল্য এ কারণেই বেড়ে গিয়েছে। চিনি বিক্রেতাদের মতে, মাত্র দুই দিনের মধ্যে চিনির পাইকারি দর প্রতি কেজি ৮ টাকা বেড়ে ১৫৩ টাকায় পৌঁছেছে। চিনির খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৫০-১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা হয়ে গেছে। অনলাইন দোকানগুলোতে দাম আরও চড়া। প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৬০-১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত। ইস্পাত বারের দাম প্রতি টন ২৭০,০০০ থেকে ২৮০,০০০ রুপি ছুঁয়েছে, যা আগের দামের তুলনায় ১০,০০০ রুপি বেড়েছে। ডিজেলের হার প্রতি লিটারে ২০ রুপি বৃদ্ধির কারণে পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে। করাচি হোলসেলার্স গ্রোসারস অ্যাসোসিয়েশনের (কেডব্লিউজিএ) প্রধান রউফ ইব্রাহিম বলেছেন, নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগমন ‘বিপর্যয় ডেকে এনেছে’। তিনি বলেন, ‘আগের সরকারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কোনো রিট জারি করা হয়নি। মজুদদাররা মজুত করে রেখেছেন, কিন্তু সরকার কিছুই করছে বলে মনে হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মজুদদার ও মিল মালিকদের গোডাউনের ওপর নজরদারি শুরু করলে চিনির দাম অবিলম্বে প্রতি কেজি ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে। গত বছরের আখের দাম প্রতি ৪০ কেজি ৩০০ টাকা বিবেচনায় রেখে এটি দামের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।’ এ ঘটনায় বেলুচিস্তান হুইলস লিমিটেড (বিডব্লিউএল) অস্থায়ীভাবে ১৮ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে।