বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর মুখোশধারীদের হামলা, আহত ২০
অনলাইন নিউজ ডেক্স
নাটোরে শনিবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর শহরের বিভিন্ন স্থানে মুখোশধারীদের হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
এতে সদরের কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে সকাল থেকে দুপুর ১২টার পর্যন্ত জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারীরা অবস্থান নেন। পরে তারা বিক্ষোভ করায় নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা শুরু করতে পারেনি বিএনপি। পরে দুপুর ১টার দিকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পদযাত্রা শুরু করা হয়।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল আটটার দিকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভিন্ন পথ দিয়ে পদযাত্রায় অংশ নিতে আসছিলেন সদরের কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ তার অনুসারীরা। এ সময় নাটোর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দুটি কালো রঙের গাড়ি থেকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা হাসুয়া ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আজাদ বলেন, একই ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি তুহিনসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মুখোশধারীরা। তাদের মধ্যে চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে শনিবার সকালে পদযাত্রায় আসার সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে মুখোশধারীরা। এতে জেলা যুবদলের নেতা সুজাউল ইসলাম সুজা, যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, রেজাউল করিম, এনায়েত উল্লা মিলটন, লিয়ন, ছাত্রদলের মোস্তফা আনাম, মোজাম্মেল হোসেন, ফিরোজ ও গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে দুপুর একটার দিকে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, ছাত্রদল সভাপতি কামরুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নেতাকর্মীদের ওপরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচি বানচাল করে দিতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা একদিকে অস্ত্র নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিচ্ছে; অপর দিকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসূচিতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা করে রক্তাক্ত করছে। এরপরও বিএনপি ধৈর্যের সঙ্গে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সদর আসনের মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে দলের নেতারা তাদের অনুসারীদের দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিনা উসকানিতে একের পর এক এসব হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যখন যাকে ইচ্ছে তাকে ধরে ধরে মারপিট করা জাতির জন্য মোটেও কোনো শুভ আলামত নয়।
নাটোর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, নাটোর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হামলার খবর পেয়ে পুলিশসহ তিনি নিজে সেখানে গিয়ে কাউকে পাননি। এ ছাড়া কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।