হিলিতে আবারও ১০ টাকা বাড়ল ভারতীয় পেঁয়াজের দাম


আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রভাবে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়তি লক্ষ্য করা গেছে দিনাজপুরের হিলি বাজারে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজের ওপর ফের শুল্ক বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠেছে। রোববার (২৭ আগস্ট) হিলির খুচরা বাজারে ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা শনিবার বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকাদরে। একদিন আগে নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৪ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিদরে। জানা গেছে, শনিবার (২৬ আগস্ট) সপ্তাহের শুরুর দিন ভারত থেকে ৩৭ ট্রাকে ১ হাজার ৯৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ভারত সরকারের আরোপকৃত ৪০ শতাংশ শুল্কে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এদিকে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর আবারও শুল্কায়ন মূল্যবৃদ্ধির গুঞ্জনে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী ও সাধারণ বিক্রেতারা। বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, যখন পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো তখন তো দাম কম ছিল। তারপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলো। তখনও মোটামুটি একটা স্বাভাবিক দাম ছিল। এখন আবার নতুন করে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ থেকে ১২ টাকা দাম বাড়ছে। আমাদের মত সাধারণ ক্রেতারা কোথায় যাবে তাহলে। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে সেখান থেকে বেশি দামে কিনে আমদানি করতে হচ্ছে। এতে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম আবারও কমে আসতে পারে। বন্দরে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজ লোড-আনলোডের জন্য আলাদা করে শ্রমিক রাখা হয় যেন বন্দর থেকে আমদানিকারকরা দ্রুত নিয়ে বাজারজাত করতে পারেন। দেশের বাজারে সংকট নিরসনে ভারতের ইন্দোর, নাসিক, মহারাষ্ট্রসহ বেশকিছু রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয় হিলি স্থলবন্দরে। সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। দাম স্বাভাবিক রাখতে ও রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে গত ১৯ আগস্ট ভারতের অর্থমন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।