৩৬ জেলার যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত সংস্কার কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ। এ কারণে দুই মাসেরও অধিক সময় মহাসড়কটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৩৬ জেলার বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। রাস্তা ব্যবহার করতে না পাড়ায় এসব রুটের যানবাহন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করছে। এতে ফ্লাইওভারে তীব্র যানজেটের সৃষ্টি হচ্ছে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওইসব জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রী এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, সংস্কার কাজ চলায় মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ৩৬ জেলায় চলাচলকারী যানবাহন এবং রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস, ট্রাক, লড়ি, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা, ভ্যানগাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এসব রুটের যানবাহনকে ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ফ্লাইওভারের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি আলাদাভাবে টোলের টাকা গুনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই এলাকায় থাকা অফিসগামীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে কিংবা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রিকশায় চলাচল করছেন। ঢাকা-কুমিল্লা রুটের বাসচালক আল-আমিন বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দুই মাসেরও অধিক সময় বন্ধ করে ধীরগতিতে সংস্কার কাজ চলছে। এতে বাধ্য হয়ে আমরা হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করছি। এ জন্য আমাদের টোলের টাকা গুনতে হচ্ছে। নগর পরিবহণের একাধিক বাসের চালক বলেন, আমরা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাত্রাবাড়ী হয়ে চলাচল করি। রাস্তা বন্ধ থাকায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে যাত্রাবাড়ী মোর দিয়ে যেতে পারছি না। এতে আমাদের যাত্রী কম হচ্ছে। অপরদিকে ফ্লাইওভারের টোলও দিতে হচ্ছে। যাত্রাবাড়ী এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এ কেমন কথা যে, দুই-আড়াই মাস ধরে রাস্তা বন্ধ করে কাজ চলবে। রাস্তা বন্ধ থাকায় আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও দনিয়া কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সড়ক বন্ধ করে সংস্কার কাজ চলায় আমরা চরম ভোগান্তির শিকার। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ নাজের আহমেদ বলেন, সড়ক বন্ধ করে কাজ চলায় আশপাশের রাস্তায় সৃষ্ট যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত খুলে দেওয়া প্রয়োজন। জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, রাস্তা বন্ধ করে কাজ করার জন্য মেয়রের অনুমতি নিয়েছি। মেয়র বলেছেন রাস্তা বন্ধ করে যতদিন লাগে কাজ করতে। তাই এভাবে কাজ করছি। এতে জনগণের ভোগান্তি হলে কিছু করার নেই।