নিয়মিত নামাজ পড়ায় সাইকেল উপহার পেল ১৭০ শিক্ষার্থী


নিয়মিত নামাজ পড়ায় বাইসাইকেল উপহার পেল বরিশালের ১৭০ স্কুল শিক্ষার্থী। রোববার সন্ধ্যায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে এই সাইকেল বিতরণ করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। গত রমজানে মাসে জামাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সব স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে সাইকেল উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিব। পরে এ সংক্রান্ত ব্যানার টাঙিয়ে দেয়া হয় পুরো ১৬নং ওয়ার্ডজুড়ে। সে অনুযায়ী ১৬নং ওয়ার্ডের শিক্ষার্থীরাও নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড জামে মসজিদে জামাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শুরু করে। এর আগে ১৭০ শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ জন্মনিবন্ধনের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি, বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি ও পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে। সাইকেল উপহার পাওয়া ১৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেজাউল হকের ছেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির জানায়, আমি সবসময় জামাতে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করতাম। তার মধ্যে রাজিব ভাইয়ের এ ঘোষণা শুনে নামাজ পড়ার উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। এখন সাইকেল পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। আরেক শিক্ষার্থী আবু তালিব বলেন, অনেক দিন ধরেই বাবা মায়ের কাছে একটি সাইকেলের আবদার করেছিলাম। অবশেষে জামাতের সহিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে নিজেই সাইকেল উপহার পেয়ে খুব খুশি হলাম। শিক্ষার্থীদের এক অভিভাবক ১৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহীন আহমেদ বলেন, কাউন্সিলরের এমন আয়োজনের পর অনেকে শিক্ষার্থীই জামাতে নামাজে উৎসাহী হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ ছিল তার। এমন উদ্যোগ সব ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাজিব হোসেন বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভাইয়ের নির্দেশনায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব শিক্ষার্থীদের জামাতে নামাজ আদায়ে উদ্বুদ্ধ করতেই মূলত এ আয়োজন করা হয়েছিল। তাছাড়া শিশুদের মাঝে যে হারে মোবাইল ফোন আসক্তি বেড়েছে, মাদকের যে ভয়াবহতা বেড়েছে, তা থেকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুরে রাখতেই এই আয়োজন। রাজিব আরও বলেন, মাঝে সিটি নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যস্ততায় সাইকেল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কটু কথাও শুনতে হয়েছে। অবশেষে সাদিক আবদুল্লাহ ভাইয়ের সহযোগিতায় সাইকেল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমার কাউন্সিলরের মেয়াদ রয়েছে। যদি আবার কোনো দিন ওয়ার্ডবাসীর সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে আরও ভালো কিছু করব।