ইসরাইলি হামলায় ২০ দিনে নিহত ৩ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু


অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় দ্রুত বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। নিহতদের মধ্যে প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার বিষয় হলো, এই বেসামরিকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মানসুর জানিয়েছেন, বিগত ২০ দিনে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে হামাস-ইসরাইল সংঘাত ইস্যুতে আলোচনা সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রিয়াদ মানসুর বলেন, আমি আবারো বলছি, বিগত তিন সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার নিষ্পাপ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। একের পর এক মৃত্যু গাজাবাসীকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, একটি মৃত্যুর শোক প্রকাশের ফুরসত নেই, আরও এক বা একাধিক মৃত্যু এসে হাজির হচ্ছে। ফিলিস্তিনি দূত উল্লেখ করেন, গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের ৭০ শতাংশই শিশু, নারী ও বয়স্ক। এ সময় তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারপরও আপনাদের অনেকেই এই যুদ্ধকে ন্যায্য বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন! এগুলো স্পষ্ট অপরাধ, বর্বরতা। যারা এরই মধ্যে মারা গেছেন, তাদের জন্য না হোক, অন্তত যারা এখনো বেঁচে আছেন, তাদের রক্ষার জন্য হলেও তো আপনারা এ যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের এই দূত আরও জানান, ইসরাইলি হামলায় গাজাজুড়ে যে পরিমাণ স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে, তার নিচে এখনো অন্তত ১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি চাপা পড়ে আছেন। এত দিনে তারা হয়তো মরেই গেছেন কিংবা বেঁচে থাকলেও খুবই গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন; কিন্তু তাদের উদ্ধার করার কোনো সুযোগ নেই, এমনকি তাদের দাফন করারও কোনো সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ ২১তম দিনে গড়িয়েছে। বিগত ২০ দিনে হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা অঞ্চলে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় ৭ হাজার ২৮ জন গাজাবাসী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাড়ে ১৮ হাজার। হামাস প্রশাসন নিহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে। গাজার বাইরে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলায় আরও অন্তত ১০৭ জন নিহত হয়েছেন।