র‌্যাবের অভিযানে হরিণাকুন্ডুতে সাবেক সেনা সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপতার


ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌর এলাকার শুড়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামরুজ্জামান শামিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সাইদকে দুইটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার ভোর রাতে হরিণাকুন্ডু শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবু সাইদ পারদখলপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ছনুর ছেলে। শনিবার বিকালে ঝিনাইদহ র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ খবর জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ নভেম্বর রাতে মসজিদে এশার নামাজ পড়ে শুড়া গ্রামের খালের পাড় ধরে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে পার্বতীপুর গ্রামের জনৈক জব্বার মন্ডলের মেহগনি বাগান সংলগ্ন বাশেঁর সাকোর নিচে ভিকটিম শামীম হোসেনের লাশ পাওয়া যায়। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে পরদিন ২৪ নভেম্বর হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। র‌্যাবের আভিযানিক দল শুক্রবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে হরিণাকুন্ডু শহরে কতিপয় ব্যক্তি সন্ত্রাসী অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলিসহ অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে আবু সাইদ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার হয়। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ জানায় সে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এছাড়া সে সাবেক সেনা সদস্য ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। শামিম হত্যার পর এতোদিন মামলাটি মোটিভ ও ক্লু লেস অবস্থায় ছিল বলে র‌্যাব জানায়।