জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ভোটারদের জোর করে কেন্দ্রে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে সরকার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের মোড়ে মঙ্গলবার গণতন্ত্র মঞ্চের এক সমাবেশ এ মন্তব্য করেন নেতারা।
‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ এ আহবান জানিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। পরে একটি মিছিল গ্রিনরোড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের শব্দসন্ত্রাস দিয়ে কাজ হবে না। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করছে। এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে তাদের সহযোগী দলে ঢুকিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা টাকা-পয়সার ভাগবাটোয়ারা না পেয়ে গণহারে সরে যাচ্ছেন সাজানো নির্বাচন থেকে।
নেতারা বলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তড়িঘড়ি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে। এই ফাঁদে এক সময় আওয়ামী লীগকেও পড়তে হবে বলে স্মরণ করিয়ে দেন নেতারা।
গণসংযোগ পূর্ব এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বক্তব্য দেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন।
সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ তা পণ্ড করার পাঁয়তারা করে। সমাবেশের ঠিক পাশেই মাইকে উচ্চশব্দে নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে বিশৃঙ্খলা করে। আশপাশে সন্ত্রাসী বাহিনী জমায়েত করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়।
শুধু তাই নয়, প্রচার মিছিল শুরু হলে ট্রাকের মধ্যে লাউড স্পিকারে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে প্রচার মিছিলের পিছু নেয় এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।