ডিএমপি কমিশনার ও ডিবিপ্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের বৈঠক


আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ সফরে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) যৌথ প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধিদলটি বুধবার বৈঠক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের সঙ্গে। প্রতিনিধিদলটি প্রথমে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে ডিবিপ্রধানের সঙ্গে বসে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের পাঁচ সদস্য ছিলেন। নাতাশা রথচাইল্ড, ইভো পেন্টচেভ, মারিয়াম তাবাতাদজে, ক্রিসপিন কাহেরু ও নেন্দা মারিনকোভিচ। তাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি কাজী শহীদুল ইসলাম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মীর নুরানী উপমা। পরে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তারা (মার্কিন প্রতিনিধিদল) কিভাবে নির্বাচন আয়োজন হচ্ছে, নির্বাচনে নিরাপত্তা, প্রার্থীদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের কেউ অভিযোগ করেছে কিনা- সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ ধরনের অভিযোগ পেলে কিভাবে সুরাহা করা হচ্ছে- সে ব্যাপারেও জানতে চেয়েছেন তারা।এ ছাড়া ভোটের দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সহিংসতার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা- সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা তাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমরা তাদের বলেছি, পুলিশ অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে এবং এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। তারা আমাদের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এদিকে বৈঠক শেষে ডিবিপ্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। তারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার, আটক অবস্থায় তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়েছে, হেফাজতে (রিমান্ড) তাদের ওপর অসদাচরণ বা নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, নির্বাচনি নিরাপত্তা পরিকল্পনা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা, প্রার্থীদের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজখবর নেন। হারুন বলেন, আমরা বলেছি- যাদেরকে গ্রেফতার করেছি, তারা সবাই তালিকাভুক্ত আসামি। বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাও ডিবি অফিসে এসেছিলেন। তাদের কেউ বলেননি যে আমরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি বা এখানে তাদের কাউকে নির্যাতন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়েও জানতে চেয়েছেন বলে জানান ডিবির হারুন। তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে এটি আগের নির্বাচনের ঘটনা এবং এটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় ঘটেছে। আমরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করেছি। উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় আসে মার্কিন এই যৌথ প্রতিনিধিদল। তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনপরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং সেগুলোর মূল্যায়ন করবে।