এবি পার্টির প্রচারপত্র বিতরণে হামলা অগ্নিসংযোগ: আহত ২


প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ বুধবার বিকাল ৩টা থেকে রাজধানীর পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল ও সেগুনবাগিচা এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণ, দোকানি ও বিভিন্ন যানবাহনে প্রচারপত্র বিলি করেন নেতাকর্মীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ আওয়ামী ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ পুরানা পল্টনের দিক থেকে খোলা ট্রাক ও ৮-১০টি মোটরসাইকেল সহযোগে এসে প্রচারপত্র বিলিরত কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তারা কর্মীদের হাত থেকে প্রচারপত্র কেড়ে নেয় এবং সেগুলোকে এক জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে এবি পার্টির দুই কর্মী সোহাগ ও মশিউর আহত হন। ছাত্রলীগের এই অতর্কিত হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে কর্মসূচির সূচনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল। অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি- আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী ঘৃণ্য এই আওয়ামী চক্রান্তে আপনারা অংশ নিবেন না। বিএম নাজমুল হক বলেন, আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না, বাসায় থাকুন, পরিবারকে সময় দিন। স্বৈরাচারের দোষর হবেন না। প্রচারপত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- এবি যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম নান্নু, সেলিম খান, শাহজাহান ব্যাপারী, আমেনা বেগম, শীলা আক্তার, রিপন মাহমুদ, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এদিকে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। তারা হামলাকারী সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন এবং গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা প্রদানের ঘৃণ্য ও পৈশাচিক আচরণে ক্ষোভ জানান।