বিএনপি থেকে বিএনএমে যোগ দেওয়া শাহ জাফর জামানত হারাচ্ছেন


ফরিদপুরের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ২১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে সরে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সদ্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ মোট ১৩ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ পাননি তারা। শাহ মো. আবু জাফর নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। পরে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৫টি। জামানত রক্ষায় দরকার ২৯ হাজার ৬৮৯। এ আসনে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- বিএনএম প্রার্থী শাহ মো. আবু জাফর (২২ হাজার ৪৬৫ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. আক্তারজ্জামান খান (১ হাজার ৩৫ ভোট) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নুর ইসলাম সিকদার (১ হাজার ৮৮৯ ভোট)। ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন তিনজন। তাদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬২টি ভোট। জামানত রক্ষা করতে তার ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২২ হাজার ৮১টি। ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনে প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ৬২৮টি করে। জামানত হারাচ্ছেন বিএনএমের গোলাম রব্বানী খান ২৯২ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন ৩২১ ভোট, জাতীয় পার্টির এসএম ইয়াহিয়া ৫৮৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের এমএ মুঈদ হোসেন ৪৪১ ভোট পেয়েছেন। ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনের প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার দরকার ছিল ৩৪ হাজার ৬৬৯টি করে। জামানত হারাচ্ছেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাজমুন নাহার (প্রাপ্ত ৫৩৬ ভোট), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহম্মেদ মাওলা (প্রাপ্ত ৪০১ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ার হোসেন (প্রাপ্ত ৬০৬ ভোট), তৃণমূল বিএনপির প্রিন্স চৌধুরী (প্রাপ্ত ৪৫৮) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আলমগীর কবির (প্রাপ্ত ১৭৮ ভোট)। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, জামানত রক্ষা করতে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী ওই পরিমাণ ভোটের তুলনায় কম ভোট পেয়েছেন, তারা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।