হঠাৎ বৃষ্টি আসায় মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ


তীব্র শীতে কাপছে পুরো দেশ। এরমধ্যেই হঠাৎ বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর শহরের মূল সড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। কুয়াকাটা বেড়িবাঁধ সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ট্রাকে করে মাটি নেয়ার সময় প্রতিদিন কম-বেশি রাস্তায় পড়ছে মাটি। তাই হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় বেড়েছে দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি।এতে কাদা পানিতে কুয়াকাটা পৌর শহরের মূল সড়ক পিচ্ছিল হয়েযায়। দীর্ঘদিন ধরে বেরিবাদের মাটি সরবরাহকারী গাড়ি থেকে প্রতিদিন মাটি পরে এই অবস্থা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। সরজমিনে দেখা যায়, আলীপুর থেকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত পুরো রাস্তায় কাদামাটি পরে বৃষ্টির পানিতে এখন পুরো রাস্তা মরণ ফাঁদ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে মোটরসাইকেল আরোহী ও কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা। জামাল হোসেন নামেস এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, পুরো চার কিলোমিটার রাস্তায় মাটি- কাদা পানিতে হযবরল হয়ে আছে। আমি মটরসাইকেল নিয়ে পরে গিয়ে অনেক ব্যাথা পেয়েছি। শুধু আমি নয় অনেক মটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এখন পর্যন্ত। এইগুলো দেখার কেউ নেই। রাব্বি নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটক বলেন, আমরা অনেক দূর থেকে মটরসাইকেল যোগে কুয়াকাটায় এসেছি। বৃষ্টি দেখে তারাহুরো করে যাচ্ছিলাম কিন্তু সামনে যে রাস্তার উপর কাঁদা- মাটি পানিতে যে হযবরল হয়ে আছে তা বুঝতে পারিনি। আমরা এসেই পরাপর ৩-৪ টা গাড়ি এখানে পরে গিয়ে কারো হাত কেটে গেছে কারো পা ছিলে গেছে। আসলে কি বলবো, একটা পর্যটন নগরীর মহাসড়কের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে পর্যটক কেন আসবে আপনার এলাকায়। কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আমরা বিষয়টি জানি এবং দেখেছি আসলে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজও যেমন করতে হবে তেমনি জনগণও যেন কোন ভোগান্তির শিকার না হয় তাও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। মূলত বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় মহাসড়ক দিয়ে মাটি টানছে তারা। তবে তাদেরকে আমরা বার বার বলেছি যেন রাস্তা পরিস্কার করে দেয়। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমি আপনাদের মাধ্যমেই খবর পেলাম। বিষয়টি আমি দেখবো এবং ব্যবস্থা নিবো। খুব তারাতাড়ি যেন রাস্তা পরিস্কার করা হয় সে বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে দেখবো।