রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাচ ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি রাজনৈতিক সভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাচ ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। বিহার হয়ে রাহুলের গাড়ি বুধবার মালদায় প্রবেশ করতেই এ হামলা হয় বলে জানা গেছে।
রাজ্য কংগ্রেসের দাবি, মালদহে রাহুলের গাড়িতে ঢিল মেরে কাচ ভাঙা হয়। মমতা বলেছেন, ওই ঘটনা বিহারে হয়েছে।খবর ডয়চে ভেলে ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিহারের কাটিহার থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দেওয়ানগঞ্জে ঢোকার পর রাহুলের গাড়িতে হামলা হয়। ঢিল ছুড়ে রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর ওই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাহুল ৩৮ কিলোমিটার যান।
তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের কাটিহারে এই কাচ ভেঙেছে। পশ্চিমবঙ্গে নয়।
রাহুলের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, \'আমি তো গাড়ির ভেতরে বসেছিলাম। কে ঢিল ছুঁড়েছে জানি না। তবে বুঝে নিন, কে ভাঙতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে ন্যায় যাত্রায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
কী ধরনের অসহযোগিতা করা হচ্ছে তাও জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেছেন, ঠিক ছিল, ভালুকার ইরিগেশন বাংলোয় রাহুল গান্ধী খেয়ে বেরিয়ে যাবেন। তার অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমরা একটা মাঠ ঘিরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তারও অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিল না। মুর্শিদাবাদে ঢুকে যে স্টেডিয়ামে রাতে থাকার কথা ছিল, সেখানেও থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কংগ্রেসের একজন নেতা রাহুলের গাড়িতে কেউ পাথর মেরেছে। আমরা ওসব করি না। এসব করে কী লাভ? ওটা বিহারে হয়েছে। গাড়ি কাচ ভাঙা অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। বিহারে সবে নীতীশ ও বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। ওদের রাগ থাকতে পারে। আমি এই ঘটনার নিন্দা করি। এখানে যে কেউ শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং করতে পারেন। তবে ২ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তখন মাইক বাজিয়ে মিটিং করা যাবে না। মিটিং করতে হলে ইন্ডোরে করতে হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।