ইউক্রেনের মামলা প্রত্যাখ্যান করল আইসিজে


রাশিয়ার বিরুদ্ধে করা ইউক্রেনের বেশিরভাগ মামলা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত (আইসিজে)। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের আকাশে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ১৭ গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য মস্কোকে দায়ী করে অভিযোগগুলো করেছে কিয়েভ। বুধবার আইসিজে বিমানটি ভূপাতিত করার জন্য রাশিয়ার দায়বদ্ধতার বিষয়ে বিশেষভাবে রায় দিতে অস্বীকার করেছে। এই বলে বাতিল করেছে যে, যেসব ব্যক্তি অপরাধ করেছে, তাদের বিষয়ে রাশিয়া তথ্য তদন্তের ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অন্য সব আবেদনও বাতিল করেছে আইসিজে। ২০১৪ সালের শুরুতে, রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে। এরপর থেকে জাতিগত ইউক্রেনীয় এবং ক্রিমিয়ান তাতারদের লক্ষ্য করে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। সেখানে ইউক্রেনীয় ভাষা শিক্ষায় সমর্থন দিতে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া একটি বৈষম্যবিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে। উভয় লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়াকে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার অনুরোধ করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আদালতের এসব সিদ্ধান্ত কিয়েভের জন্য একটি আইনি ধাক্কা। আইসিজেতে ২০১৭ সালে এসব অভিযোগ করেছিল ইউক্রেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তহবিল দিয়ে রাশিয়া সন্ত্রাসবিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ১৬ বিচারকের প্যানেল রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলো তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু কিয়েভের ক্ষতিপূরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদিকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে আরও চার শতাধিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার উভয়পক্ষই ১৯৫ সেনার মুক্তি দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, দুই শতাধিক বন্দি দেশে ফিরে এসেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ২০৭ ইউক্রেনীয় সেনাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ইউশিন আইএল-৭৬ বিমান বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়া জানিয়েছে, বিমানটিতে ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি ছিলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার বলেছেন, আমেরিকান প্যাট্রিয়ট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে। যদিও এ দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর এই প্রথম বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করল দেশ দুটি।