শেখ হাসিনাকে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইয়োন মার্সেল চলাকু এবং বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই ডেনকভ। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পৃথক কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
গত ২২ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান বুলগেরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস মারিয়া গ্যাব্রিয়েল।
উল্লেখ্য, পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অঞ্চল।
ইতোপূর্বে খুব সামান্য কূটনৈতিক তৎপরতা থাকলেও বর্তমানে দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক, ব্যবসা বাণিজ্য, শ্রমবাজার ও পারস্পরিক সহযোগিতা উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে।
এ বিষয়ে রোমানিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী জানান, ২০২০ সালের পূর্বে রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস খোলার আগে ১০০ জন বাংলাদেশিও ছিল না। গত ৩ বছরে ৩০ হাজারের অধিক বাংলাদেশি বৈধভাবে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলে রোমানিয়ার ইমিগ্রেশন আমাদের জানিয়েছে। দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে আমরাই সম্ভবত প্রথম স্থান অধিকার করেছি। এছাড়া বুলগেরিয়াতেও বর্তমানে ৩০০-৪০০ বাংলাদেশি প্রবেশ করেছেন এবং আরও কয়েকশ বাংলাদেশি পাইপলাইনে আছেন বলে তিনি জানান।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয়প্রধান শেখ কৌশিক ইকবাল জানান, এ দূতাবাসের আওতাধীন অন্য দেশ মলদোভা ও উত্তর মেসিডোনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। তবে দেশগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান থাকায় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাতে পারেনি। বাংলাদেশ এখন পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিচিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এ বছরের মার্চ থেকে ইউরোপীয় অঞ্চলের অবাধ চলাচলের ‘শেনজেন’ জোনে প্রবেশ করছে বলে ইউরোপিয়ান কমিশন জানিয়েছে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।