সড়ক পরিবহণ আইনের আওতায় মালিকদের আনার প্রস্তাব ডিসিদের
অনলাইন নিউজ ডেক্স
নতুন সড়ক পরিবহণ আইনের আওতায় মালিকদের আনার প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। কারণ মালিকরা শ্রমিকদের নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার টার্গেট দিয়ে গাড়ি চালাতে দেন।
ফলে জমা খরচ তোলা এবং অধিক লাভের আশায় চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। সে কারণে মালিকদেরও জরিমানার আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে চাঁদাবাজি এবং দুর্ঘটনা রোধে এ আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন চান ডিসিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিসি বলেন, জেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। কারণ ডিসি-এসপি উভয়ে একই ব্যাচের কর্মকর্তা। কে সভাপতিত্ব করবেন। তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) এসিআর প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২০১৯ সালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে। এছাড়া ইউএনওদের মাধ্যমেই কাজ করতে হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের।
তাদের এই কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা।
মাঠপ্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকি করার কথা। কিন্তু তাদের বেশিরভাগ কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।
ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে এ বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ প্রস্তাবসহ ৩৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। গত বছর প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫। একইসঙ্গে ডিসিরা প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বাঁধা ছকের বাইরে কাজ করতে গিয়ে যেসব অসুবিধা ও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন সেসবও তুলে ধরেছেন।
প্রতিবছর বেশিরভাগ প্রস্তাব থাকে ডিসি ও ইউএনওদের ক্ষমতা বা দায়িত্বের পরিধি বাড়ানো ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসংক্রান্ত। এবারও প্রস্তাব বৃদ্ধির সঙ্গে ক্ষমতার পরিধি ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ বেশি এসেছে। অবশ্য প্রতিবছরই ঘুরেফিরে অতীতে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোই তুলে ধরেন তারা।
কারণ, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তবে এবারের সম্মেলন নতুন মাত্রা পেতে চলেছে-প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পরামর্শ দেবেন। এজন্য আজ সম্মেলনের প্রথম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা ও মানিকগঞ্জের ডিসি উপজেলা পর্যায়ে ত্রাণ গুদাম নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন। কারণ জরুরি দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দ্রুত বিতরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে কোনো ত্রাণগুদাম নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব ঢাকার ডিসি দিয়েছেন।
বর্তমান দ্রব্যমূল্য বিবেচনায় ভিজিএফ কর্মসূচিতে কার্ডপ্রতি ২০ কেজি চাল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি। এতে অতিদরিদ্র পরিবার আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং এ কর্মসূচির গুরুত্ব বাড়বে। বর্তমানে ভিজিএফ কর্মসূচিতে দুই ঈদে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি চাল দেওয়া হয়।
উৎসব বিবেচনায় যা একটি পরিবারের জন্য অপ্রতুল। ফেনীর ডিসি জিআর চাল বরাদ্দের জন্য বৃদ্ধাশ্রম, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র, কাব/স্কাউট সমাবেশ ইত্যাদি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। নীতিমালায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মতো জিআর চাল প্রদান করা যাবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির অসচ্ছল পরিবারকে নগদ সহায়তা ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ন্যূনতম ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব এসেছে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।