‘মা ফোনে এমবি থাকবে না, কথা নাও হতে পারে’


ভারত মহাসাগরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জয় মাহমুদ। তিনি সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে। জয় জাহাজের সাধারণ নাবিক (ওএস)। এ ঘটনা শোনার পর থেকে উৎকণ্ঠায় তার পরিবার ও স্বজনরা। জয়ের মা আরিফা বেগম বলেন, ছেলে (জয়) ফোন করে বলেছে, ‘মা আমার ফোনে এমবি থাকবে না, কথা নাও হতে পারে। হয়তো এক-দুই মাস কথা নাও হতে পারে। ঈদে শপিংসহ যা কেনা লাগে তোমরা কিনে নিও।’ তিনি আরও বলেন, তখনও ছেলে আমাকে কিছুই বুঝতে দেয়নি। পরে রাতে মেম্বারের কাছ থেকে জেনেছি তাদের জাহাজে দস্যুরা আক্রমণ করেছে। তিনি তার ছেলেসহ অন্যদের উদ্ধারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জয়ের চাচাতো ভাই মো. মারুফ আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জয় তাকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘আমাদের জাহাজ জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। আর কথা নাও হতে পারে। বাড়িতে কাউকে কিছু বলিস না। দস্যুরা ফোন নিয়ে নিতে পারে।’ এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মেসেজ করে বলেন, ‘ফোন জমা নিচ্ছে। দোয়া করো। আব্বু আম্মুকে সান্ত্বনা দিও। আর কথা হবে না।’ বুধবার দুপুরে সরেজমিন জয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবাসহ পরিবারের সবার চোখে পানি। চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে ঘরের বারান্দায় বসে আছেন তারা। জয়ের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, ২০১৯ সালে জাহাজে নাবিক হিসাবে চাকরি হয় জয়ের। আগামী ঈদুল আজহায় বাড়িতে আসার কথা ছিল তার। তিনি বলেন, আমার ছেলেসহ জিম্মি সব নাবিককে দ্রুত উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।