‘সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইফতার মাহফিল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে’


খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইফতার মাহফিল বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। রমজানের আলোচনা সভা করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা যে নির্মম নির্যাতন করেছে, রোজাদারের ওপর কোনো মুসলমানের সন্তান তা করতে পারে না। রোজাদারদের যারা কষ্ট দেয় তারা আল্লাহর মেহমানদেরই কষ্ট দেয়। আমরা সরকার ও সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের এমন নির্মমতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন, সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে ততই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না। সরকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেত না পেরে ইফতার মাহফিল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে। সরকারকে এসব বন্ধ করতে হবে। আব্দুল বাছিত আজাদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর দীর্ঘ ৫ মাস ধরে চলমান ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ঢাকা মহানগরী খেলাফত মজলিস আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন ও মুফতি আজীজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাভোকেট মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, ইসলামী যুব মজলিস সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, শ্রমিক মজলিস সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী, সাহব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, হাজী নূর হোসেন, হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, এনামুল হক হাসান, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, হাফেজ মুহাম্মদ সালমান, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান প্রমুখ। সমাবেশের পর এক বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে গিয়ে শেষ হয়।