কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যে ঘটনাই ঘটুক, তদন্ত করে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পাহাড় শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে শান্তির সুবাতাস বইত। এখানে কোনো অশান্তি হোক তা চাই না। শনিবার বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক পরিদর্শনকালে রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। হামলার ঘটনায় কারও গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধহয় অর্থ সংগ্রহ করা। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে সন্ত্রাসীরা এখানে ঢুকবে; আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়, যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটি করবে। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেব না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, থানায় আক্রমণের ঘটনায় উত্তপ্ত বান্দরবান। এমন অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে বেলা ১১টার দিকে বান্দরবানের রুমায় পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।