শালিখায় দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, মাগুরা
প্রচন্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে মাঠ থেকে ধান কেটে দ্রুত বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করে ফসল ঘরে তুলতে রোদে পুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে মাগুরার শালিখা উপজেলার কৃষকেরা। চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টিতে আক্রান্ত না হলে ও বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে মুনাফার সম্ভাবনা দেখছে কৃষকেরা।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ধান কাটা, আটি বাধা, বয়ে বাড়ি নিয়ে আসা, ঝাড়ায়-মাড়াই করে ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত কৃষকেরা।
প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন তারা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে শালিখায় এ বছর বোরো মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ৪৭৫ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৩ হজার ৫৭০ হেক্টর। অর্থাৎ ৯৫ হেক্টর জমিতে বেশি বোরো ধান চাষ হয়েছে।
গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে বেশি হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল (উপশী) ব্রি-ধান ৮১, ৯৬, বিনা-২৫, বঙ্গবন্ধু-১০০ এবং হাইব্রিড জাতের মধ্যে স্বর্ণা গোল্ড, এসিআই-৬ সিনজেনটা-১২০৩ ধানের চাষ বেশি হয়েছে।
উপজেলার দরিশলই গ্রামের ধান চাষী ব্রজেন বিশ্বাস, আবু তালেব, পোড়াগাছী গ্রামের নির্মল বিশ্বাসসহ অনেকে জানান, এ বছর উপশী ধানের চাষ বেশি হয়েছে। কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়াই প্রতি বিঘায় বোরো ধান চাষের খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। তবে আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে ও উপযুক্ত দাম পাই তাহলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এবার আবহাওয়া বোরো ধান চাষের উপযোগী ছিল। উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫০% এরও বেশি ধান কর্তন হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।