জলপাইগুড়ির মেয়ে এখন টালিগঞ্জের ‘তুফান গার্ল’


জলপাইগুড়ির মেয়ে মিমি চক্রবর্তী এখন টালিগঞ্জের ‘তুফান গার্ল’। ‘পড়াশোনা করতে যাচ্ছি’ বলে কলকাতায় কলকাতায় আসলেও তার চোখে ছিল গ্ল্যামার দুনিয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই তাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গেছে। একাধারে তিনি সফল অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ। হয়েছেন এমপিও। মিমি চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ১৯৮৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশবকাল কেটেছে অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ জেলার দেওমালি শহরে। তিনি পরে পরিবারের সঙ্গে জলপাইগুড়ি শহরে তার পৈত্রিক বাড়িতে ফিরে আসেন। তার বাবা-মা থাকেন শিলিগুড়িতে। জলপাইগুড়ি হলি চাইল্ড স্কুলে ও বিন্নাগুড়ির সেন্ট জেমস স্কুলে লেখাপড়া করেছেন তিনি। এর পর পড়াশোনা কথা বলে চলে আসেন কলকাতায়। সেখানে আশুতোষ কলেজ থেকে ২০১১ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘বাপি বাড়ি যা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়। এর পর ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’, ‘প্রলয়’ থেকে ‘রক্তবীজ’, ‘আলাপ’, একের পর এক সিনেমার মাধ্যমে অনুরাগীদের মনে শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন মিমি। মিমি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পূর্বে একজন মডেল ছিলেন। তিনি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়াতে অংশগ্রহণ করেন। তার অভিষেক হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তার ২য় আবির্ভাব গানের ওপারে ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকের খ্যাতি তাকে আলোয় এনে দেয়। গানের ওপারের চিত্রনাট্য লেখে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ ধারাবাহিক নির্মিত হয়। এই ধারাবাহিকে আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি অভিনয় করেন। মিমি ক্যালকাটা টাইমস ২০১৬ ও ২০২০ সালের ‘মোস্ট ডিজায়ারেবল’ উইমেন তালিকায় সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মহিলা হিসাবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন মিমি চক্রবর্তী। একই বছর ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে যাদবপুর লোকসভা নির্বাচনি এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ১৭তম লোকসভার এমপি নির্বাচিত হন। আগামীতে \'তুফান\' সিনেমায় দেখা যাবে মিমিকে। ওপার বাংলার আলফা আই, চরকি এবং এপার বাংলার এসভিএফের প্রযোজনায় তৈরি এই ছবির নায়ক শাকিব খান।