ট্রাফিক পুলিশের ৫ পরিকল্পনায় কমেছে মোহাম্মপুরের যানজট


রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় যানজট লেগেই থাকত। ফলে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে সম্প্রতি তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের নুতন পরিকল্পনায় কমে এসেছে মোহাম্মদপুরের আগের চিরচেনা যানজট। জানা গেছে, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন পরিকল্পনার ট্রায়ালের মাধ্যম মোহাম্মদপুর এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পেরেছে। তাদের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সকল গণপরিবহনের অস্থায়ী পার্কিং অপসারণ। ২. বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ননস্টপ সার্ভিস চালু করা। ৩. বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলা চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত সকল অবৈধ হকার উচ্ছেদ করে শতভাগ রাস্তা যানবাহন চলাচল উপযোগী করা। ৪. বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক বিআরটিসির বাস ডিপো থাকায় বিআরটিসির বাস দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করার সুযোগ না দেওয়া এবং এ সংক্রান্তে কর্তৃপক্ষের সাথে যথাযথ সমন্বয় করা। ৫. মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক নতুন সার্কুলেশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডে বসবাসকারী ব্যবসায়ী কাজী আমানুল্লাহ বলেন, আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা, আমি তাকে প্রতিদিন স্কুলে নামিয়ে দিতে যাই। দীর্ঘ ২২ বছর এই এলাকায় বসবাস করছি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার এমন সুন্দর দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। একদিকে অফিসগামী মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছে, ঠিক তেমনি উপকৃত হচ্ছে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত অসংখ্য স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদপুরবাসী মোস্তফা কামাল আরিফ বলেন, আমার ছেলে মাহাদি মোস্তফা সেন্ট জোসেফ স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন যাওয়া-আসার সময় চরম একটা হ্যাজার্ড অবস্থা আমাদেরকে এখানে পোহাতে হত। আমার ছেলের ক্লাসে এটেন্ড করাতে হলে আমার বাসা থেকে মিনিমাম এক ঘণ্টা সময় নিয়ে বের হওয়া লাগত, সেখানে আমার এখন লাগছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল বলেন, আজকের এই অবস্থা শুধু একদিনের ফসল নয়, আমরা ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ করছি। ক্রমাগত প্রচেষ্টা এবং নিরলসভাবে লেগে থাকায় নতুন ট্রাফিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলো, যার সুফল এখন নগরবাসী পাচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নতির স্বার্থে বাসস্ট্যান্ডর অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি অপসারণ করে রাস্তা ও ইন্টারসেকশন প্রশস্ত করার উদ্দেশ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।