মিশর-গাজা সীমান্ত দখলে নিয়েছে ইসরাইল


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও মিশরের মধ্যকার সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরাইল। বুধবার দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য দিয়েছে। এই এলাকা দখলের ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের পুরো স্থলসীমান্তের ওপর কর্তৃত্ব পেয়েছে ইসরাইল। খবর দ্য গার্ডিয়ানের একটি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে ইসরাইলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী ‘ফিলাডেলফি করিডোর’-এর ওপর ‘অপারেশনাল’ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে। মিশর-গাজা সীমান্ত বরাবর ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ (৯ মাইল) এই করিডোরের জন্য ‘ফিলাডেলফি করিডোর’ কোড নাম ব্যবহার করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। হাগারি বলেছিলেন, ফিলাডেলফি করিডোর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জন্য একটি অক্সিজেন লাইন হিসেবে কাজ করছিল। এই লাইন ব্যবহার করে গাজায় নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করা হতো। এদিকে সম্প্রতি জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইসরাইলকে অবিলম্বে রাফায় হামলা বন্ধ করার আদেশ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বুধবার রাফাহ শহরে ট্যাংক পাঠিয়েছিল দেশটি। এর আগে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো রাফাহর কেন্দ্রস্থলে চলে গিয়েছিল সেনারা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজাজুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরাইল হামাস যোদ্ধাদের বেসামরিকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকার অভিযোগ এনেছে। তবে এমন অভিযোগ গাজার ক্ষমতায় থাকা ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটি অস্বীকার করে। ইসরাইল যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি। তিনি বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ অন্তত ২০২৪ জুড়ে চলবে। কেননা চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে ইসরাইলি জিম্মিদের বিনিময়ের দাবি করেছে হামাস। হানেগবি বলেন, রাফাহ শহরের লড়াই একটি অর্থহীন যুদ্ধ নয়। ইসরাইলের লক্ষ্য হলো গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং ইসরাইলি ভূখণ্ডে গোষ্ঠীটি ও তার মিত্রদের আক্রমণ বন্ধ করা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েলকে গাজার জন্য যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে অথবা অঞ্চলটিতে অনাচার, বিশৃঙ্খলা এবং হামাসের প্রত্যাবর্তনের ঝুঁকি নিতে হবে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।