ভাষণে নয়, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে: গয়েশ্বর


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধুমাত্র ভাষণের মধ্য দিয়ে আসেনি। এসেছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। এ দুটিই করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাও যেমন দিয়েছেন, তেমনি রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বৃক্ষরোপণ করেন। গয়েশ্বর রায় বলেন, জিয়াউর রহমান অনেক গুণের অধিকারী একজন নেতা ছিলেন। আমাদের তার দেশপ্রেম, সততা ও ন্যায়ের পথ অনুসরণ করতে হবে। জিয়াউর রহমানের ভাবনাকে নিজের ভাবনা হিসেবে মনে করতে হবে। যে জিয়া জনতার, সেই জিয়া মরে না। তিনি বলেন, যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। তাদের কথা ভাবেন, তাদের পরিণতি এখন ভাবেন। অথচ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম শুনলে তাদের রাতে ঘুম হয় না। এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন মাস্টারসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালে মারা না গিয়ে ৭৫ সালে মারা যেতেন তাহলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান অথবা অফ্রিকার দেশগুলোর মতো হতো। দেশের চলমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান একজন সফল এবং জনপ্রিয় নেতা। তার নেতৃত্বেই দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।