‘বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল ’


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, নরসিংদীর পাঁচদোনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে নরসিংদীবাসী ঝাপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঙ্গালিকে উজ্জীবিত করেছিল, অনুপ্রাণিত করেছিল পাঁচদোনার যুদ্ধ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) নরসিংদীর পাঁচদোনায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি। নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিতে ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে: কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) হেলাল মোর্শেদ, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ৭১’এর নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার নজরুল ইসলাম, পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ। আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, ৭১’এর সেই পরাজিত শক্তি জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন, আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করা এবং কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়নে আহবান জানান। সরকারি চাকরি কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পাঁচভাগ রেখেছেন তা মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছে। কিন্তু পরিস্কার হওয়া উচিত বাকি পদে কাদের নেয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ কোটা নিয়ে আাদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বুঝাপড়া করবো। সম্প্রতি দেশে অরাজক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, যারা দেশে তান্ডব চালিয়েছে তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিলো বিএনপি ও জামায়াত রাজাকারের দল। তারা এই নৈরাজ্য করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, কারণ আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে আঘাত করেছে। তারাই আঘাত করেছে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা। আলোচনা শেষ অতিথিরা ভাঙচুরকৃত মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ও ক্ষতিগ্রস্ত নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।