লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৮


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কলেজছাত্রসহ আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্তত ৬০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে ঝুমুর পর্যন্ত এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিকের ওপরে মানুষ। লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. সোহেল রানা রোববার রাত ৮টার দিকে এই প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার কলেজছাত্রের নাম সাদ আল আফনান। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। শহরের ঝুমুর এলাকায় সে গুলিবিদ্ধ হয়। আরেকজন হলো- রায়পুর চরমোহনা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আবদুর রহমান উচৃচ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. ওসমান। বাকি ছয়জনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানাল সদর থানার ওসি জানান। নিহত আফনানের মামা হারুনুর রশিদ জানান, আফনানকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাথায় গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা সারে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে সৌদি আরবে মারা যান আফনানের বাবা সালেহ আহমদ। এক মাস আগে তার লাশ দেশে এনে দাফন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিছু হটেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ অবস্থান নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপুর বাসায়। আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বাসার সামনে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে বাসার ভেতর থেকে শটগানের গুলি ছোড়া হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরূপ পাল বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজনের লাশ সদর হাসপাতালে রাখা রয়েছে। আহত ৬০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫০ জন গুলিবিদ্ধ।