বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সহযোগিতা করতে রাজি- এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইইউর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নাড স্পানিয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান। ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। এতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার মতো বিষয়ে আলোচনা হয়। বার্নাড স্পানিয়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পর গণতন্ত্র, রাজনীতি ও অর্থনীতি সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে- এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশ যে একটা গর্তের মধ্যে পড়েছে, সেখান থেকে দেশটাকে তুলে আনতে হবে। এর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করতে পারে, তাদের পক্ষ থেকে কোথায় কোথায় সমর্থন দিলে কাজ হবে, সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, বিদেশে অনেক টাকা পাচার হয়েছে। ১০০ বিলিয়ন ডলার বলে বিভিন্ন সোর্স থেকে বলা হচ্ছে। এই টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা সাজেস্ট করেছি, সবাই মিলে এটার জন্য কাজ করতে হবে একসঙ্গে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে রাজি আছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। এগুলোর প্রতিকার কী, কীভাবে এগুলোকে সঠিক জায়গায় আনা যায়, সেখানে তাদের কী সহযোগিতা থাকতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশ থেকে ইউরোপে যে রপ্তানি হয়- এটা কিভাবে আমরা অব্যাহত রাখতে পারি- সেক্ষেত্রে তাদের কী করা উচিত, আর্থিক খাতে কী সংস্কার করা যায়, দেশ অর্থনৈতিকভাবে কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতন্ত্রে ফিরে আসতে হলে নির্বাচন ছাড়া তো আর কোনো সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।