আ. লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: মেজর হাফিজ


আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু হত্যা করেছে, রাজপথে সাধারণ মানুষকে গুলি করে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ (সিএসআরবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠন ও জন মালিকানা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ বলেন, রাজনীতিকদের একটা বড় অংশ দুর্নীতিবাজ এতে কোনো সন্দেহ নেই। যে তিন-চারটি নির্বাচন করে গেল শেখ হাসিনা, এগুলো কি নির্বাচন হলো? এগুলোতে কি পেয়েছি আমরা? এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বিশ্বের কোনো সরকার করেনি। কীভাবে ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। কীভাবে পুলিশ বাহিনীকে একটা দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের মধ্যে থেকে উঠে আসা একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচন এলেই দেখবেন এই দলের জনপ্রিয়তা আছে কী নেই। তবে রাষ্ট্র সংস্কার করার নিশ্চয়ই প্রয়োজন আছে। এই দেশের সরকারগুলো কেন একের পর এক জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়? একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে মনে হয় আমাদের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুর্নীতি শিকড় গেড়ে বসেছে। ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি দমন করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ আমরা নিতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে ৩১ দফা দিয়েছি, তার মধ্যে থেকে ছয়টি দফা এ সরকার গ্রহণ করেছে, ছয়টি কমিশন করেছে। আমরা আশা করব কমিশনগুলোর মাধ্যমে তারা বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে পারবে। তবে দীর্ঘ সময় নেবেন না। সংস্কার করতে ১০-২০ বছর লাগাবেন না। অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ। এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পৃথক আরেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এমনকি বায়তুল মোকাররমে যে ঘটনা ঘটেছে এটা খুবই নিন্দনীয় এবং আশঙ্কাজনক। সেজন্যে এই সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে, যারা এক সাগর রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের যে দাবি সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।