রাতেই ‘ঘূর্ণিঝড় দানা’র গতি উঠতে পারে ১০০ কিমি
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় দানা। ক্ষণে ক্ষণে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ। বর্তমানে এটি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে সাড়ে ৫শ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়া দফতরের বিশেষ বুলেটিন ৬- এ জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাতে দেশটির গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, দানা এখনও সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে রয়েছে। শক্তি বাড়িয়ে রাতে তা ‘প্রবল’ আকার নিলে বাতাসের বেগ আরও বাড়বে। মধ্যরাতের পর থেকেই সমুদ্রের ওপর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। আর বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে তা ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এছাড়া ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত সমুদ্রের ওপর ঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও হতে পারে ১২০ কিলোমিটার। শুক্রবার ঝড়ের বেগ কিছুটা কমতে পারে। ওইদিন সকালে ৯৫ থেকে ১০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় চলতে পারে। রাতে ঝড়ের গতি কমে হবে ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। অর্থাৎ, ল্যান্ডফলের (স্থলভাগ অতিক্রম) পর ঝড়ের গতি কমে যাবে। শক্তি হারিয়ে শনিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আবার নিম্নচাপে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।