ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে মার্কিন-তুর্কি সম্পর্ক কোন পথে এগোবে?
অনলাইন নিউজ ডেক্স
মার্কিন নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন তুর্কি-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশা, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এবং উত্তর সিরিয়ার সন্ত্রাসী সমস্যা নিয়ে অগ্রগতি আনতে পারে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতা আরও বাড়তে পারে। কারণ ট্রাম্প এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, সিরিয়া এবং ইউক্রেন ইস্যুতে উভয় দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো সম্ভব হতে পারে।
‘সুযোগের জানালা’ খুলবে
ট্রাম্পের জয়ে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে এরদোগান সর্বপ্রথম ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান এবং টেলিফোনে তার সঙ্গে আলাপ করেন। এরদোগান তাকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করতে আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়ায় নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত জেমস জেফরি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুর্কি-মার্কিন সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ট্রাম্প আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেন।
সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার
তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধের অন্যতম কারণ হলো- সিরিয়ার ওয়াইপিজি গোষ্ঠীকে মার্কিন সমর্থন, যা পিকেকে গোষ্ঠীর একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
তবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বলছেন, ট্রাম্প উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরানোর বিষয়ে আগ্রহী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সিরিয়া নিয়ে তুর্কি-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সমঝোতা করতে চান, তাহলে তুরস্ক এতে ভূমিকা রাখতে পারে।
গাজা ইস্যু
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজা ইস্যুতে তুর্কি-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু মতবিরোধ অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তুরস্কের অবস্থানের কারণে। অন্যদিকে ইরান ইস্যুতে সংযম প্রদর্শন করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন, যা তুরস্ক-মার্কিন সম্পর্কের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হতে পারে।
এস-৪০০ এবং এফ-৩৫ জেট
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তুরস্কের কাছে এফ-১৬ জেট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। তবে এস-৪০০ এবং এফ-৩৫ নিয়ে বিরোধ এখনও বিদ্যমান। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে উভয় দেশ এই জটিল ইস্যুটি একপাশে রেখে সামরিক ক্ষেত্রে তাদের সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য কাজ করতে পারে।
এই সমস্ত বিষয়ে নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে তুর্কি-মার্কিন সম্পর্ক নতুন সম্ভাবনার দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।