নিক্সনের অন্যতম সহযোগী সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম জাহিদ ধরাছোঁয়ার বাহিরে!
অনলাইন নিউজ ডেক্স
নিক্সনের হাজার বিঘা জমি, তিন দেশে আছে বাড়ি
একসময়ের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেন তিনি।
নিক্সনের অন্যতম সহযোগী ভাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম জাহিদ ৫ আগস্টের পর একাধিক মামলার এজাহার নামীয় আসামী হয়েও সকলের ভিড়ে ধরাছোয়ার বাহিরে। সে কাউন্সিলর হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই নিক্সন এর ছায়াতলে থেকে পিতা পুত্র শত কোটি টাকার মালিক হয়েযান। জাহিদ হোসেন এর পিতা কথিত ডাক্তার শাহ্ আলম নান্নু উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের কাছে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। জাহিদের বাবা পূর্বে একাধিকবার ভুয়া ডাক্তার হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল। বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে রয়েছে পিতা পুত্রের কালো টাকার পাহাড়। চৌধুরীকান্দা সদরদীর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি শাহ্ আলম নান্নু। পিতা পুত্রের রয়েছে- ভাঙ্গা ৫৫নং সদরদী মৌজা, চুমুরদী মৌজা, ৩৭নং হাসানদিয়া মৌজা সহ উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় রয়েছে প্রায় শত বিঘা জমি। ভাঙ্গা বাজারে মিনিমাম ১০টি দোকান। ফরিদপুরে আছে দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। ঢাকাতেও আছে বিলাসবহুল একাধিক ফ্লাট। শিবচর টেকেরহাট বরইতলা চুমুরদীর হাটে কিনেছেন অনেক দোকানপাট সহ নিজ আত্বীয়স্বজন এর নামে গোপনে আছে সম্পদের পাহাড়। সচেতন মহলের দাবী হটাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া জাহিদ ও তার বাবা শাহ আলম নান্নু কেন ধরাছোয়ার বাহিরে? দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন স্থানীয় জনগণ।
নিক্সন চৌধুরি বিভিন্ন সময় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিতও ছিলেন। পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এলে তার নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে পালিয়ে আছেন তিনি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী। যা কোনো রাজার সম্পত্তিকেও হার মানায়। তার নিজের ও পরিবারের নামে হাজার বিঘার বেশি ভূমির মালিকানা রয়েছে। রয়েছে ঢাকার পূর্বাচল, আদাবর, গুলশান ও বনানীতে প্লট ও ফ্ল্যাট। সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় রয়েছে বাড়ি। ফরিদপুরে নিজের বাড়িতে বানিয়েছেন আস্ত একটা চিড়িয়াখানাও।নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ও ফরিদপুরের ভূমি অফিস, রাজউক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র তলব করেছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু নথিপত্র দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আলোচিত নিক্সন চৌধুরীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুদক চিঠি দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্ত্রীসহ তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে তিনি ইতোমধ্যে দেশ ত্যাগ করেছেন। আমাদের অনুসন্ধান থেমে নেই। দুদকের দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রাজধানীতে বাড়ি ও ফ্ল্যাট থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। তার নিজ এলাকায় বালুর ব্যবসা ও অঢেল স্থাবর সম্পদের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে, অনুসন্ধান শেষে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হবে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-৪ আসনের তিন বারের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী প্রথমে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে ব্রাক্ষণপাড়া মৌজার চর অঞ্চলে ৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে তিনি নিজ এলাকায় বাড়তি সুবিধা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। অভিযোগ রয়েছে, আড়িয়াল খাঁ নদ ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন নিক্সন চৌধুরী। আশপাশের জমির মালিকদের ডেকে বাড়িতে এনে জোর করে ভাঙ্গার সদরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। এভাবে প্রায় ১১শ বিঘা জমি নিজের স্ত্রী ও সন্তান এবং ভাইয়ের নামে দলিল করে নিয়েছেন তিনি। নিক্সন চৌধুরী সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন…Read more
7:26 PM
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।