কমেছে পেঁয়াজের দাম
অনলাইন নিউজ ডেক্স
একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। ইন্দোর জাতের ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গতকালকেও বিক্রি হয়েছিল ৮৫ টাকা কেজি দরে। তবে চাল ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আঠাশ জাতের চাল ৫৮ টাকায়, সম্পাকাটারি ৭০, স্বর্ণা জাতের চাল ৫৫ এবং জিরাশাইল জাতের চাল ৬৬ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা রত্না আতব ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায়, শম্পাকাটারি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি আলু ৬০ টাকা, ভারতীয় আলু ৫৩ থেকে ৫৪ টাক দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের অভ্যন্তরে নতুন জাতের ইন্দোর পেঁয়াজ ওঠার কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশি আমদানি হওয়াতে কমেছে দাম বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। বুধবার সকাল ১০টায় হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, ভারতীয় ইন্দোর জাতের পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আমরা বন্দরের পাইকারি মোকামে ৭২ টাকা কেজিতে কিনে খুচরা বাজারে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে অনেকটাই কমেছে দাম। বর্তমানে ইন্দোর নতুন জাতের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮ টাকা কমে ৭২ টাকায়, নাসিক জাতের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৮০ টাকায় এবং সাউথ জাতের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ৭৭ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও কমে যাবে দাম বলেও জানা তিনি।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার ভারতীয় ৪৩ ট্রাকে ১ হাজার ৫৮০ মেট্রিকটন চাল, ৩৮ ট্রাকে ১ হাজার টন আলু এবং ২৫ ট্রাকে ৭২০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।