এস আলমের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আলোচিত এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা করেছে জনতা ব্যাংক। আজ রোববার চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুল রহমানের আদালতে মামলাটি করা হয়। হাসিনা সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম ঋণখেলাপি মামলা। গেল ৫ আগস্টের আগে খেলাপি ঋণ আদায়ে তিন ব্যাংক কর্মকর্তা মামলা করার প্রস্তুতি নিলে তাদেরকে এক দিনের নোটিশে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে সিলেটে বদলি করা হয়েছিল।মামলায় ১০ ব্যক্তি ও ১৪ প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন- এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ, আবদুস সামাদ লাবু, আবদুল্লাহ হাছান, আবদুছ ছবুর, রাশেদুল আলম, ওসমান গণি, শাহানা ফেরদাউস, মিশকাত আহমদ, ফারজানা পারভিন ও শহীদুল আলম। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন, এস আলম ট্রেডিং, এস আলম রিফাইনস সুগার, কোল্ড রোল্ড স্টিলস, ভেজিটেবল অয়েল, সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম স্টিলস, সিমেন্ট, ব্রাদার্স, সয়া সিড, ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং, পাওয়ার জেনারেশন, লাঙারি চেয়ার কোচ সার্ভিস এবং চেমন ইস্পাত লিমিটেড।শুনানি শেষে আদালত সাইফুল আলম মাসুদের ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার, তার ভাই আবদুস সামাদ লাবুর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে জনতা ব্যাংক সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা মামলাটি করেছে। এর আগে ২০ নভেম্বর জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ে এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি নিলামে তোলে। ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের কাছে এই টাকা অনাদায়ী পড়েছে।জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা থেকে ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ঋণ নেয় গ্রুপটি। এরপর দফায় দফায় এই শাখা থেকে ঋণ নিয়ে এস আলম গ্রুপের দেনা দাঁড়ায় ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই শাখার দেওয়া ঋণের ৮০ শতাংশই নিয়েছে এস আলম। এসব ঋণের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়ে। পুণঃতফসিল করা হলেও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় গ্রুপটি। গত এপ্রিলে দুই হাজার কোটি টাকার খেলাপি হলেও এ ঋণ নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে ব্যাংকটি।ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে বন্ধক রয়েছে ২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার জমি ও স্থাপনা। আপাতত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ঋণ আদায়ে নিলাম ডাকা হলেও ধীরে ধীরে বাকি ঋণের জন্য অন্য বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তোলা হবে জানিয়েছেন আইনজীবী। নিলামে তোলা সম্পদগুলো চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, কোতোয়ালী, চান্দগাঁও ও বাকলিয়া এবং গাজীপুরে। এসব জমির বাজারমূল্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।