সংস্কার যত স্বল্প সময়ে করা যায় ততই উত্তম : ডা. তাহের


সংস্কার যত স্বল্পসময়ে করা যায় ততই উত্তম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সময় জামায়াত ইসলামী সরকারকে দিতে চায়। কিন্তু আমরা চাই সরকারও একটা রোডম্যাপ দিক, সংস্কারে কতদিন লাগবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংস্কার যখন হয়ে যাবে, সবাই যখন একমত হয়ে যাবে তারপরের ধাপেই আমরা ইলেকশন দেব, আমরা এটার সঙ্গে একমত। তবে আমরা মনে করি সংস্কারটা যত স্বল্পসময়ে করা যায় ততই উত্তম। কারণ কেয়ারটেকার সরকারের কাজই হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ছাত্র আন্দোলনের সাবেকদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, আমাদের আমিরের কথা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। সবাই চেয়ে আছে জামায়াত কী করবে। দুটি কারণে উনাকে পছন্দ করে, উনার কথা বলার ধরন, দ্বিতীয়টি হলো মানুষ এমন নেতা চায়, দল চায়, ব্যক্তি চায়, যারা দুর্নীতি করে না। আগের ফ্যাসিবাদী সরকার ও তার দোসররা লাখ লাখ কোটি টাকা মানুষের কাছ থেকে নিয়ে গেছে। তাদের এদেশ শাসন করার ক্ষমতা নেই।তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেকে গড়ো, ৩ মাসে রোকন হও। এদেশের নির্যাতিত মানুষ, বঞ্চিত মানুষ, পথহারা মানুষের কাছে যাও। মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড তোমরাই নেতৃত্ব দেবে।তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ আন্দোলনে যেমনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তারা শুধু সৈরাচারের পতন ঘটায়নি। বরং দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। মানুষ প্রমাণ করেছে এদেশের মানুষ কোনো জালেমকে সহ্য করে না। তাই বিগত ফ্যাসিবাদের সময়ের যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা এখনো দেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। যারা সৎ ছিলেন, পদোন্নতি পায়নি তাদের নিয়োগ দিন।নায়েবে আমির বলেন, ইসলামি ব্যাংক এশিয়ার সর্ববৃহৎ ব্যাংক ছিল। এই ব্যাংককে যারা ধ্বংস করেছে তাদের অতিদ্রæত বিচার করতে হবে। যাকে চেয়ারম্যান করে বসানো হয়েছে তিনিও দুর্নীতিগ্রস্ত। অতিদ্রæত তাকে সরাতে হবে। যারা ইসলামি ব্যাংক লুটপাট করেছে এরা দুস্থ।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও জামায়াতের রোকনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।