৩টি সামরিক ট্যাংকসহ ইসরাইলের ১০ ভবন ধ্বংস


রকেট হামলার মাধ্যমে তিনটি ইসরাইলি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। ট্যাংকগুলো লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রাম মারুন আল-রাসের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় রকেট হামলার শিকার হয়।বুধবার এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি মেরকাভা ট্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যেগুলো মারুন আল-রাস নামক গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।হিজবুল্লাহর সর্বশেষ এ হামলাটি লেবাননের সীমান্ত এলাকায় চলমান সংঘাতের মধ্যেই ঘটেছে। যেখানে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।হিজবুল্লাহ এর আগে এক বিবৃতিতে জানায় যে, তাদের যোদ্ধারা অধিকৃত ফিলিস্তিনের উত্তরে ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি ও অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে ৫০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।বুধবার আল-মায়াদিন টেলিভিশন জানায়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, বুধবার লেবানন থেকে ইসরাইলি অবস্থানে ৫০টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। যেগুলো লেবাননে ইসরাইলি আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ছোঁড়া হয়েছে।ইসরাইলি চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, আল-মুতলা বসতিতে চালানো এ হামলায় অন্তত ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এর আগে, বুধবার সকালে একাধিক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করে যে, তাদের যোদ্ধারা শোমেরা ক্যাম্প, শতুলা এবং মিসগাভ আম বসতির সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে।এদিকে মঙ্গলবার রাতে গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরাইলি বাহিনী প্রবেশ করে আক্রমণ চালায়। মানা, আল-মানারা, এবং আল-সালাম এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করার পর ওইসব এলাকা থেকে ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত ৩৬১ দিনে গাজায় ইসরাইলি সামরিক আক্রমণে ৪১,৬৩৮ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন।ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। সেই থেকে গাজার ৭০ শতাংশ আবাসিক ভবন এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অবরুদ্ধ অঞ্চলের বাসিন্দারা নজিরবিহীন মানবিক সংকট, দুর্ভিক্ষ এবং সম্পূর্ণ অবরোধের শিকার হয়েছে।ইসরাইল সরকার স্বীকার করেছে যে, প্রায় এক বছর ধরে চলা আগ্রাসন সত্ত্বেও তারা হামাসকে ধ্বংস এবং গাজায় আটক ইসরাইলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই ও ইরনা