আরাভ খানের সম্পদের তথ্য চায় সিআইডি
অনলাইন নিউজ ডেক্স

দুবাইয়ে থাকা বিতর্কিত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের সম্পদের তথ্য জানতে চিঠি চালাচালি শুরু হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দুবাই সরকারের কাছে আরাভের সম্পদের বিস্তারিত জানতে চায়। সিআইডি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে। এ ছাড়া সিআইডি আরাভের অবৈধ অর্থের উৎসও খুঁজছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।দুবাইয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে আরাভকে সেখানে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত অনেকে এখনও দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া আরাভ তাঁর আগের ফেসবুক আইডিতেও সক্রিয় নন। তিনি নতুন একটি আইডি খুলেছেন। সম্প্রতি সেখানে তিনি লেখেন, তাঁর আগের ফেসবুক পেজ হ্যাকারদের কবলে। নতুন পেজে তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। নতুন আইডিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পোস্টও তিনি করেছেন। সম্প্রতি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ও সৌদি আরব যাওয়ার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন।
গত ৮ এপ্রিল এক পোস্টে আরাভ লেখেন– ‘বিপদে পড়লে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে যান আর কয়েকটা দিন। কত মানুষ কত কথা বলবে, কত অপমান করবে, কিচ্ছু দেখার দরকার নেই। পরম করুণাময়ের কাছে সাহায্য চান, আর নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলুন। সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। শক্ত করে হাল ধরে থাকুন।’ ওই পোস্টের সঙ্গে দেওয়া ছবিতে আরাভের হাতে পিস্তল দেখা যায়। তবে পিস্তলটি আসল না নকল, তা যাচাই করা যায়নি।পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যার আসামি দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা আরাভের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। সংস্থার রেড নোটিশের তালিকায় আরাভ ৬৩তম বাংলাদেশি। ইন্টারপোলের ওয়বসাইটে প্রকাশিত রেড নোটিশে তাঁর নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম। বয়স ৩৫ বছর। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। জন্মস্থান বাগেরহাট। খুনের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই নোটিশ বলে জানানো হয়।এদিকে আরাভ তাঁর অর্থ-সম্পদ নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দুবাইয়ের একাধিক ব্যবসায়ী। তাঁদের দাবি, আরাভ প্রতারণা করে অনেককে ফাঁসিয়েছেন। এর পর তাঁদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। বাংলাদেশি নাগরিক হলেও তাঁর কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকায় বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ইন্টারপোলের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে কূটনৈতিক চ্যানেলকে। দুবাইয়ের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকলেও দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমঝোতার ভিত্তিতে অপরাধীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় আরাভের ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করা গেলে তাঁকে ফেরানোও তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে-বিদেশে আরাভের সম্পদের খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। তাঁর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। দুবাইয়েও নজরে আছেন আরাভ।
