ইউএনও জিনিয়ার বদলি, খুশিতে এলাকাবাসীর মিষ্টি বিতরণ!


ইউএনও জিনিয়ার বদলি, খুশিতে এলাকাবাসীর মিষ্টি বিতরণ!
নরসিংদীর শিবপুরে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনিয়া জিন্নাতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিদায় সংবর্ধনা শেষে তিনি শিবপুর ত্যাগ করেন। তার বিদায়ের সংবাদে গোটা এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউএনও জিনিয়া জিন্নাতের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছলে গত ২৮ আগস্ট তাকে অনত্র বদলি করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইউএনও শিবপুর থেকে নরসিংদী আসার পথে গত ১২ সেপ্টেম্বর সৈয়দনগর এলাকায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। গাড়ির সামনের অংশ ধুমড়ে মুচড়ে গেলেও অক্ষত থাকেন তিনি। গত এক বছরে এই ইউএনও চারজন চালক দিয়ে তার গাড়ি চালিয়েছেন। এরই মধ্যে একজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন এবং আরেজনকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। সম্প্রতি অ্যাকসিডেন্ট করায় কামাল নামে আরও একজনকে গাড়ি চালানো থেকে বিরত রাখেন তিনি।ইউএনওর বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান তাপসি রাবেয়া বলেন, কোনো রেজ্যুলেশন ছাড়াই ইউএনও চেকবইয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। রেজ্যুলেশন ছাড়া চেকবইয়ে সই করতে অস্বীকৃতি জানালে সরকারি প্রোগ্রাম কৃষিমেলায় দাওয়াত করা হয়নি আমাকে। এ খবর শুনে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রধান অতিথি হয়েও কৃষি মেলায় উপস্থিত থাকেননি। উপস্থিত থাকেননি উপজেলা চেয়ারম্যানও।তাপসি রাবেয়া আরও জানান, রেজ্যুলেশনে ছাড়া ১৫ লাখ টাকার চেকে সই না দেওয়ার কারণে ইউএনও তাকে ছাড়াই একাই সভা-সমাবেশ করছেন। তার নানা অনিয়ম, কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ ছিলেন উপজেলা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহাসিন নাজির বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা অনেক বেশি। উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ মারা যাওয়ার পর তিনি কাউকেই গ্রাহ্য করেননি। উপজেলা আইন-শৃঙ্খলার সভাসহ কোনো সভায় কাউকে সম্মান দেওয়া বা কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কাগজে-কলমে নিজেই সভা শেষ করে দিতেন। ’তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ডেকে এনে সতর্ক করা হয় বলেও জানা গেছে। তার স্বামী কোনো সরকারি চাকরিজীবী না হলেও যত্রতত্র ইউএনওর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন।ড্রাইভার কামাল জানান, জীবনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই ইউএনও এবং তার স্বামীর রাতে দিনে দুজনের ডিউটিই করতে হয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহে রাতে দুই/তিনদিন ইউএনওর স্বামীকে নিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে গিয়েছি। সেখানে তার অফিস রয়েছে।এদিকে সাত মাস ধরে বেতনভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ইউএনওর আরেক চালক রুবেল।তার বিরুদ্ধে ইউএনওর লিখিত অভিযোগ, সে নাকি বেয়াদবি করেছেন। এমন অভিযোগের লিখিত জবাব দিলেও গত সাত মাস ধরে বেতনভাতা পায় না বলে জানিয়েছেন গাড়ি চালক রুবেল।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহন বলেন, বিষয়গুলো খুবই দুঃখজনক। খুব শিগগিরই বিষয়গুলো আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করব এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করব।অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও জিনিয়া জান্নাতের মোবাইলে কল দেওয়া হয়। তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি নন বলে ফোন কেটে দেন।এদিকে ইউএনওর বিদায়ের সংবাদে গোটা এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।

সর্বশেষ :

সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী   সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার   গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প   ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা   রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।   টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড   অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন   যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি   মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি